সিটিভি নিউজ।। ১৯৬৬ সালে ৫ ফেব্রুয়ারী লাহোরে বাঙালিদের জননন্দিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান শাসন শোষন নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালিদের মুক্তির লক্ষ্যে ৬ দফা ঘোষণা করেন। ৬ দফার বাস্তবায়নের জন্য ১৯৬৭ সালে শ্রমিক কৃষক ছাত্র জনতা ৭ জুন হরতাল ঘোষণা করে ও পালন করে। হরতাল চলাকালে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা আউব শাহীর পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে মনু মিয়া সহ ১১ জন শ্রমিক নিহত হয়। বাঙালিদের মুক্তির সনদ ৬ দফা দিবস ও শহীদ মনু মিয়াসহ ১১ জন শ্রমিকদের স্মরণে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আজ ৭ জুন ২০২৪ বিকাল ৩ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ৫ম তলায়, সেগুনবাগিচা, ঢাকা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ১৯৬৯ গণআন্দোলন, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক ছাত্র নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ।
বক্তব্য রাখেন,ন্যাপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শহীদুন্নবী ডাবলু, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, বরিশাল বিভাগ সমিতির সদস্য নকিব হক, জনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি শেখ বাদশাউদ্দিন মিন্টু, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, জাসদ শাজাহান সিরাজের সভাপতি মোঃ আবদুল জব্বার, বাংলাদেশজাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাদল, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির ভাষনে মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের শাসন শোষনের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বাঙালিদের মুক্তির সনদ ৬দফার মাধ্যমে। পরবর্তীতে ৭০ এ নির্বাচনে পাকিস্তানের সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেবে জয়যুক্ত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। কিন্তু পাকিস্তানের শোসক শাসকরা বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালিদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। বাঙালি জাতি ১৯৭১ সনে মুক্তিযুুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। এই স্বাধীন বাংলাদেশের আদর্শ হবে শোষণ শাসন নির্যাতন নিপীড়ন মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা করতে পারেন নাই। তাকে পাকিস্তানের দোসররা ৭১ এর ঘাতক দালালরা ১৯৭৫ সালে হত্যা করে। হত্যার মাধ্যমে ঘাতক জিয়া ও স্বৈরশাসক এরশাদ দেশ পরিচালনা করেছিল পাকিস্তানি ভাবধারায়। ইহার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে আইনের শাসনের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় বাঙালি জনগণ। কিন্তু ইহার পরও বার বার সরকার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদের অধিকার পায় নাই। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদয়িক বাংলাদেশ গড়ি। তবেই স্বার্থক হবে আজকের আলোচনা সভা।
সভাপতির ভাষণে এম এ জলিল বলেন, ৬দফার লক্ষ ছিল বাঙালি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর যেসব সরকারই ক্ষমতায় এসেছেন তারা আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে চিরাচরিত বাজেট দিয়ে বাংলাদেশের গরীব মানুষদের আরো গরীব করতে চায় এবং ধনীদের পক্ষে বাজেট দেয়। জলিল ্আরো বলেন চিরাচরিত বাজেট নয় জনগণের জনবান্ধব বাজেট করতে হবে, সেই বাজেট হতে হবে জল জনতা আলো বাতাস মাটি পানির সমন্বয়ে। এই বাজেট করার জন্য বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কাছে আমাদের জোর দাবি। আমরা বাঙালি জাতি আপনার নেতৃত্বকে ধারণ করে বার বার সমর্থন দিয়েছি, নির্বাচনে জয়যুক্ত করেছি। কিন্তু আপনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ না করে এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনের ইশতিহার বাস্তবায়ন না করে আমলাতান্ত্রিক বাজেট করিতেছেন। ইহা বাঙালি জাতি মেনে নিবে না। বাঙালিদের জন্য জনবান্ধব বাজেট করুন। উন্নত সমৃদ্ধ দারিদ্র মোচনের বাজেট দিন। যে বাজেটে যুবকদের কর্মসংস্থানের কর্মসংস্থান হবে, কৃষক শ্রমিক ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের খাদ্য উৎপাদন করবে গরু ছাগল হাস মরগির মাধ্যমে, মাংস ও দুধ উৎপাদন করবে। সারা বাংলাদেশে ঔষধীয় ফলজ গাছের মাধ্যমে দেশকে আদর্শিক বাংলাদেশ গড়বে।সংবাদ প্রকাশঃ ০৭-৬-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন=