সিটিভি নিউজ।। সংবাদদাতা জানান === কুমিল্লা নগরীর চকবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার সাথে তিনটি দোকান দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদল নেতা মাহবুব হোসেন মামুনের বিরুদ্ধে। যদিও বাজার কমিটির এক নেতা দাবি করেছেন-দোকানগুলো তাদের। এ বিষয়ে আদালতে বিচার পক্রিয়া চলছে।
দোকান দখলের অভিযোগ এনে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, সেনা ক্যাম্প, কুমিল্লা পুলিশ সুপার, কোতয়ালি থানার ওসি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন কবির আহমেদ ও মো: আলীর পক্ষে মুন্নি আক্তার।
লিখিত অভিযোগে কবির আহমেদ ও মুন্নী আক্তার উল্লেখ করেছেন, বিগত ২০০৮ সালের ১৭ মে ৪৪৩৬ নং রেজিষ্ট্রিকৃত সাফ কবলা দলিল মূলে জনৈক রোকেয়া বেগম গংদের পিতা মৃত. হাজী সফিকুর রহমান হতে তপছিল বর্ণিত দোকান কোঠাসহ খরিদ করে মালিক ও দখলদার হিসেবে নিজ খরচে দোকান কোঠা মেরামত করে কিছু সময় দোকানদারী ব্যবসা পরিচালনা করি এবং পরবর্তীতে ইমরান মেডিকেল হল প্রোঃ রূবেল মিয়া, ও জনৈক ফল ব্যবসায়ী এহসান আলীর নিকট দোকান ভাড়া দিয়া ভাড়া আদায় করে আসছি। কিন্তু ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শ্রমিকদল নেতা মাহাবুব হোসেন মামুনের নেতৃত্বে একদল লোক এসে ৩টি দোকানের মালামাল ( ওষুধ দোকান, ফল দোকান ও কনফেকশনারি দোকান) নিয়ে দোকানগুলো তালা মেরে দেয়। দোকানগুলো তাদের বলে দাবি করে।
কবির হোসেন ও তার ছেলে সায়েম সাংবাদিকদের জানান, আমাদের তিন দোকানের ভাড়াটিয়ারা দোকানের অগ্রিম টাকা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কয়েকবার বিচার বসিয়েছে। আমাদের কাছ থেকে ৪১ লাখ টাকার চেকও নিয়ে গেছে। ১ মাসের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের অগ্রিম টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে। কিন্তু বিষয় হল- আমরা অসহায় মানুষ। কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না, এখনো নেই। মামুন সাহেব লোকবল নিয়ে দোকান দখল করার পর ভাড়াটিয়ারা চলে যেতে যায়। এর মধ্যে ওষুধ দোকানটা তাদের সাথে সমঝোতা করে খুলেছে এক ভাড়াটিয়া। ফার্মেসির ভাড়াটিয়া রুবেল তার দোকান তৎকালিন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদকে দিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন। এটা তো আমাদের দোষ না। যদিও রুবেল মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু সাহেবের কর্মী। কে উদ্বোধন করলো এইজন্য দোকান দখল হয়ে যাবে, এটা তো সমাধান না। মামুন সাহেব নিজের দোকান দাবি করছে । আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা চলছে। সামনে শুনানীও আছে। আদালত যদি চূড়ান্তভাবে রায় দেয় দোকানের মালিক মামুন সাহেবরা, তাহলে আমরা তা মেনে নিবো। দোকানের মালিকানার সকল কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। আদালতের রায়ের আগে দোকান দখল করে নেয়া দু:খজনক। আমরা খুব আতংকে আছি।
এ বিষয়ে চকবাজার দোকান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক পাখি জানান, আমরা কোন দোকান দখল করিনি। ওই তিন দোকানের মধ্যে একটা দোকানের একটা অংশ আমার। দোকানগুলোর মূল মালিক মামুন ভাই। ২০২৩ সালে আদালতের রায়ে আমরা মালিকানা পেলেও আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজনের জন্য দখলে যেতে পারিনি। সামনে আদালতের শুনানী আছে কি না জানি না। তবে ভাড়াটিয়াদের কোন সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে শ্রমিকদল নেতা মামুনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কবির হোসেনের ছেলে সায়েম জানান, আদালত আমাদের পক্ষেই রায় দিছে। সামনে শুনানীও আছে। আমাদের পক্ষেই সকল কাগজপত্র আছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সমাধান চাই। সংবাদ প্রকাশঃ =০৫-৯-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=