
সিটিভি নিউজ।। মোঃ অপু খান চৌধুরী।। সংবাদদাতা জানান =======
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রাস্তা দখল করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দক্ষিণ শশীদল গ্রামের মালদার বাড়ীরর রাস্তা এক প্রভাবশালী দখল করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় লোকজন বলেন, প্রভাব খাটিয়ে রাস্তাটি দখল করেছে একটি পক্ষ। অর্ধশত বছরের পুরোনো রাস্তাটি ম্যাপ অনুযায়ী প্রসস্ত ১৭ ফুট। হঠাৎ রাস্তার কিছু অংশ দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। পথটি দিয়ে অন্তত ৩০০ পরিবারের লোকজন চলাচল করে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ শশীদল গ্রামের মালদার বাড়ির এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। এ রাস্তার দক্ষিণ পাশে রয়েছে বিশাল একটি ফসলি মাঠ। আউশ ও বোরো ধান এর মৌসুমে কৃষকেরা ধান কেটে সীমানা প্রাচীরের কারণে ট্রলি ও ট্রাক্টর দিয়ে ধান ও বিভিন্ন ফসল আনা নেওয়া এবং মৌসুমে টাক্ট্রর দিয়ে হাল চাষ করার জন্য মাঠে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অত্র এলাকার মৃত মোস্তফা মালদারের স্ত্রী শাহনাজ বেগম রুনা প্রভাব খাটিয়ে ২০২২ সালে রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন এবং জনস্বার্থে ব্যবহৃত পানি পানের জন্য একটি টিওবয়েল সীমানা প্রাচীর মধ্যে নিয়ে নেয়। তখন স্থানীয় লোকজন বাধা দিলেও তিনি রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।
শশীদল দক্ষিণ পাড়া গ্রামের অটো রিক্সাচালক জাহিদ হাসান বলেন, এই সীমানা প্রাচীরের কারণে দুটি অটো রিক্সা ক্রসিং করতে পারে না। এ রাস্তাটি একটু প্রশস্ত হলে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে সুবিধা হতো।
একই গ্রামের ভুক্তভোগী নূরে আলম বলেন, ‘দীর্ঘ অনেক বছরের রাস্তাটি ২০২২ সালে প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার মধ্যে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে আমাদেরকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। এখন এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। মানুষ জমির ধান ও বিভিন্ন ফসল নিয়ে আসা যাওয়ার ভোগান্তিতে পড়ছে।
এ ছাড়াও এ রাস্তার পাশের বাড়ীর বাসিন্দা রুজিনা আক্তার, খোদেজা বেগম,আয়েশা আক্তার, তাসলিমা আক্তার বলেন ২০২৩ সালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এর সহযোগিতার ১০ লক্ষ টাকা সরকারি ব্যয়ে এ রাস্তাটি পাকা করণ করা হয়েছে।
এই রাস্তার মধ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না করলে আমাদের এ রাস্তা দিয়ে মাইক্রোবাস পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে সুবিধা হতো। তারা জোর খাটিয়ে রাস্তার মধ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে রাস্তাটি সরু করে দেয়।
এ ব্যপারে রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণকারী শাহনাজ বেগম রুনা বলেন, আমি যখন বাড়ি করি এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করি তখন আমাকে কেউ বাধা দেয়নি। এখন যেহেতু রাস্তার প্রয়োজন আমার ছেলেদের সাথে আলোচনা করে কি করা যায় পরবর্তীতে আমি জানাবো। সংবাদ প্রকাশঃ ২০-০৬-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=