এবারের ঈদে ঝিনাইদহের চমক বাহুবলি ও টাইগার

সিটিভি নিউজ।।     ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- জানান ===
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন ঝন্টুর ছেলে ইমরান হোসেন। তিনি ঝিনাইদহ সিটি কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে অনার্স লেখাপড়ার পর বেকারত্ব জীবন যাপন করতে থাকেন। এরই মাঝে স্বপ্ন দেখেন চাকুরি না করে নিজের একটি কর্মসংস্থান গড়ে তোলার। সেখান থেকেই তার কর্ম জীবনের পথ চলা। প্রথমে ব্রয়লার মুরগির একটি ফার্ম দিয়ে শুরু করেন কর্ম জীবন। পরবর্তীতে ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম নামে একটি গো খামার গড়ে তোলেন। সেখান থেকেই তিনি গত ৫ বছরে বেকারত্বকে কাটিয়ে নিজে স্বনির্ভরশীল হন। এভাবেই তার বেড়ে ওঠা। এরই মাঝে এবারের ঈদুল আযহায় চমক সৃষ্টি করেছে বাহুবলি ও টাইগার নামের দুই ষাঁড় ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম এর স্বত্তাধিকারী ইমরান হোসেন ২০১৫ সালে একটি গো খামার তৈরী করেন। এবারের ঈদুল আযহায় বাহুবলি ও টাইগার নামের দুই ষাঁড় দিয়ে আলোচিত হয়েছেন।

ইমরান হোসেন বলেন, পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। বিভিন্ন ফার্মে গিয়ে ও পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ফার্ম করে আজ আমি সফল খামারী। ৫ বছর হলো এই খামারে তিনি গরু লালন-পালন করেন। বর্তমানে তার খামারে ১৩ টি ছোট বড় গরু রয়েছে। তার মধ্যে বাহুবলি ও টাইগার অন্যতম। তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি এ খামার শুরু করেন। ৫ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার গরু তোলা হয়েছে তার খামারে। এছাড়াও খামার তৈরীর মাধ্যমে তিনি কয়েকজন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন। তার দাবি এ বছর করোনার মধ্যে ন্যায্য মূল্য পেয়ে লাভের মুখ দেখবেন তিনি।

খামারে কর্মরত শ্রমিক জানান, খামারের মালিক ইমরান গরুর সঙ্গে কথা বলে। সে নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। তিনি বলেন, এই ষাঁড় দুটি তাদের গ্রামটিকে অনেক এলাকার মানুষের কাছে পরিচিতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন ষাঁড় দুটিকে দেখতে।

দর্শনার্থী আব্দুস সালাম জানান, এমন গরু আমার জীবনে আগে কখনও দেখিনি এই প্রথম দেখলাম। তার সঙ্গে সেলফি উঠানোর হিড়িকও চলছে। অনেকে আবার এই ষাঁড়ের সঙ্গে তোলা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এসব কারণে ষাড় দুটি এখন আলোচিত হয়ে উঠেছে।

ইমরান হোসেনের ভাই রাজিবুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই ভাই মিলে অনেক কষ্ট করে এই গরু দুটিকে লালন পালন করেছি। আসছে ঈদুল আযহায় গরু দুটিকে নিয়ে তাদের দু’ভাইয়ের স্বপ্ন আছে গরু দুটি বিক্রয় করে ভবিষ্যতে এর চেয়ে আরো বড় গরু ঝিনাইদহ বাসীর জন্য উপহার দেব। ইনশাল্লাহ।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, তারা গরু দুটির ওজন আনুমানিক ৪০ মণ বলে ধারণা করছেন। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরো কিছু ওজন বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ