টাকা পরিশোধের পরও জমি বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি ইস্ট টাউনের

সিটিভি নিউজ।।    সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : কষ্টের টাকায় নিজের একখন্ড জমি হবে। পরিবারের হবে মাথা গোঁজার ঠাই। এমন স্বপ্ন নিয়ে গ্রাহকেরা বছরের পর বছর কিস্তির টাকা পরিশোধ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনপুরের বেসরকারী আবাসন কোম্পানী বিডিসি ইস্ট টাউনে। পুরো টাকা পরিশোধের পর জমি রেজিস্ট্রিও করেছেন অনেকে। কিন্তু ৭/৮ বছর পরও জমি বুঝে পাননি তারা। কবে বুঝিয়ে দেয়া হবে তাও জানেননা তারা। এ নিয়ে জোহরা বেগম নামে এক নারীসহ কয়েকজন গ্রাহক স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে যারা বুকিং দিয়েছেন তাদের আগামী বছর জমি বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে বিডিসি কর্তৃপক্ষ জানান ।
জোহরা বেগম জানান, তিনি বন্দরের মদনপুর বিডিসি ইষ্ট টাউনে এফ-১৯, প্লট নম্বর ৩৩ ব্লকবির এক নম্বর রোডের ১নং সেক্টরে ৩ কাঠা জমি বুকিং দেন। কিস্তিসহ সমুদয় টাকা পরিশোধের পর ২০১৪ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারী তাকে বন্দর সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়।
দলিলদাতা হিসেবে বিডিসি ইষ্ট টাউনের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মোঃ শামসুর রহমান দলিলে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি (জোহরা বেগম) ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তার নামে জমির নামজারী করেন। নামজারী ডিসিআর নং ৩১৩৭৬/১৮। কিন্তু ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও তাকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী গিয়াসউদ্দিন জানান, তিনি ৫ কাঠা জমির জন্য ১৯ লাখ টাকা দেন। কিন্তু জমি রেজিষ্ট্রি বা বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কিছুই বলছেননা বিডিসি কর্তৃপক্ষ।
বন্দর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স লিডার নাসিরউদ্দিন জানান, তার বাবা ওয়াজউদ্দিন আড়াই কাঠা জমির জন্য ২০০৩ সালে একহাজার টাকায় বুকিং দেন। এরপর কিস্তির পুরো টাকা (৪ লাখ ৩৬ হাজার) পরিশোধ করেন। কিন্তু জমির বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললে তারা তালবাহানা করে।
একইভাবে টাকা পরিশোধ করে জমি বুঝে পাননি ঢাকার পলওয়েল মার্কেটের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া। তিনি সাড়ে ৭ কাঠা জমির জন্য আড়াই বছর আগে (১০ বছর কিস্তিতে) ৫৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
কামালউদ্দিন নামে জনৈক ব্যক্তি ৫ কাঠা জমির জন্য ৩৬ লাখ টাকা এবং মিন্টু নামে এক ব্যক্তি ৫ কাঠা জমির জন্য ৩৬ লাখ টাকা পরিশোধ করে ও জমি বুঝে পাননি। এভাবে প্রায় ডজনখানেক গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে জমি বুঝিয়ে দেয়নি বিডিসি ইষ্ট টাউন কর্তৃপক্ষ।
মদনপুর ইস্ট টাউন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ জানান, জমিতে মাটি কাটার কাজ চলছিল। করোনার কারণে চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জমি বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, এই কোম্পানীর সিস্টেম হচ্ছে সব টাকা পরিশোধ করার দুই বছর পর জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিডিসির প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, জমি বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে এলাকা ভিত্তিক কিছু জটিলতা আছে। কিছু জমি নাল পড়ে আছে। ভরাট করা হয় নাই। ভরাটের পর সামনের বছর(২০২১ সাল) জমি বুঝিয়ে দেয়া হবে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার জানান, এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন কয়েকজন গ্রাহক। অভিযোগের পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিন্তু সেখানে কথা বলার মত কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৮১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ