দেবীদ্বারঃ ‘ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্ক; আমরা স্ত্রীকে পাঠাই দিছি আর সম্পর্ক থাকার কথা নয়, এখন সম্পর্ক হবে রাস্ট্রের সাথে রাস্ট্রের’ – হাসনাত আব্দুল্লাহ

সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি/================
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ ভারতের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আমরা দেখলাম বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য যতো আয়োজন আছে সব আয়োজন করে রেখেছে আমাদের পাশর্^বর্তী দেশ ভারত। ওরা যদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাইত, তাইলে আমাদের জন্য যারা শত্রæ, বাংলাদেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, যারা খুণী, তাদেরকে আমাদের হস্তান্তর করে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখী করে দিত। দিত কি না? কিন্তু সেটার পরিবর্তে আমাদের দেশের যারা অস্থিতিশীলতা চায়, যারা হত্যাকারী, যারা খুণী, যারা গত ১৭ বছর ধরে ভোট হইতে দেয় নাই, গত ১৭ বছর ধরে যারা বলে আসছে আমাদের সাথে ইন্ডিয়ার সম্পর্ক হচ্ছে কি ? স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক, কিসের সম্পর্ক ? স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক, আমরা স্ত্রীকে তো পাঠাই দিছি, দেই নাই ? তাইলে আর সম্পর্ক থাকার কথা নয়, এখন সম্পর্ক হবে রাস্ট্রের সাথে রাস্ট্রের।
ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সে কি আওয়ামীলীগ, এ দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখবে নাকি জনগনের দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখবে ? আমরা বার বার বলেছি, ভারতের জনগনের সাথে, সার্বভৌমত্বের সাথে আমাদের কোন শত্রæতা নেই, আমাদের শত্রæতা হচ্ছে ভারতের পলিসির সাথে। গুজরাট কসাই- হাসিনা কসাইকে জায়গা দিয়েছে, জায়গা দেয় নাই ? আমরা ভারতকে বলব আমাদের বাংলাদেশের যে নীতিমালা রয়েছে, দ্রæত সেটার পরিবর্তন করতে হবে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনারা কি আওয়ামীলীগের দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখবেন ? নাকি জনগনের দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখবেন ? আপনারা যদি জনগনের সাথে ভারতের জনগনের সম্পর্ক চান, এ সম্পর্ক হবে সবচেয়ে সমৃদ্ধ একটি সম্পর্ক। আপনারা যদি শুধু আওয়ামীলীগের সাথে ভারতের সম্পর্ক চান, এ সম্পর্ক আরো বেশী তিক্ত হবে। সম্পর্কটা আরো বেশী অন্ধকার হবে। সে জন্য ভারতকে বলব আপনারা জনগনের সাথে জনগনের সম্পর্ক করুন।
তিনি বলেন, আমি নির্বানী প্রচারনা করতে আসিনি। এটা হচ্ছে আগ্রাসন বিরোধী পদযাত্রা। আমাদের দেশে যারা সন্ত্রাস আছে, যারা খুনি আছে, যরা ১৫-১৬ বছর ধরে ভোট কেন্দ্র দখল করেছিল, যারা ভোট দিতে যায় নাই, তাদেরকে বর্তমানে আশ্রয় প্রশ্রয় কারা দিচ্ছে ? ইন্ডিয়া দিছে না ? এ মানুষগুলো পালাইয়া কোথায় গেছে ?
হাসনাত আব্দুল্লা তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কোন নির্বাচনী প্রচারনা না, কোন নির্বাচনী সংযোগ না। শুধু মাত্র মাথায় রাখতে হবে পরবর্তী যে সংকট টা আসতে যাচ্ছে এসংকটে যারা নেতৃত্ব দেবে, তারা হলো তরুণ প্রজন্ম। পরবর্তীতে যে সংকট আসতে যাচ্ছে, সেটাকে সমাধান করার দায়ভারও কিন্তু নতুন প্রজন্মের। সুতরাং আমাদের এ তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। কম্পিউটার প্রযুক্তিতে শিক্ষিত হতে হবে। বিজ্ঞানী সমৃদ্ধ হতে হবে। আমাদের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হতে হবে। আমাদের সামরিক শক্তিতে সমৃদ্ধ হতে হবে। শুধুমাত্র ভারত বিরোধীতা নয়, বরং আমাদের সামরিক শক্তি অর্থনৈতিক শক্তি, ভ‚-রাজনৈতিক শক্তি, আমাদের সাংস্কৃতিক ভাবে সক্ষম হতে হবে। আমাদের রাজনৈতিকভাবে স্বনির্ভরশীল হতে হবে। কেবল মাত্র স্বনির্ভরশীল নীতি আমাদের ভারতের অধিপত্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। আমরা যদি স্বনির্ভর না হতে পারি, আমাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বস্থ্য ক্ষেত্রে, অবকাঠামো ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে, আমাদের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, চিন্তার ক্ষেত্রে, আমাদের ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হতে হলে, আমাদেরকে স্বনির্ভর হতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে সামরিক ক্ষেত্রে, আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে অর্থনীতির ক্ষেত্রে, আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে, স্বনির্ভর হতে হবে শিক্ষা ক্ষেত্রে, ভারত বছরের পর বছর টায় নাই, আমাদের চিকিৎসা খাত উন্নত হোক। কারন আমাদের চিকিৎসা খাত যদি উন্নত হয় তা হলে, ভারতের স্বাস্থ্য খাত ভেঙ্গে যাবে। ভারত বছরের পর বছর যুগের পর যুগ চেয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যেন ঘুরে না দাড়ায়। বাংলাদেশের ডিশক্ষা যাতে কথনো সমৃদ্ধ না হয়, যাতে করে বাংলাদেশ সব সময় পরনির্ভরশীল থেকে যায়, সে জন্য এ তরুণ প্রজন্ম আপনাদের কাছে আহবান জানাব আমাদের পরবর্তী সারা বিশে^র মধ্যে সমৃদ্ধ হয়ে উঠার যে লড়াই, এই লড়াইয়ে আপনারা কিন্তু সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। যারা আমাদের পূর্ব প্রজন্ম রয়েছে, এই পূর্ব প্রজন্মের অনেক বেশী দায় বদ্ধতা রয়েছে। তাদের অনেক বেশী ভ্রান্তি রয়েছে, তাদের বিভাজনের রাজনীতির শিকার হচ্ছি আমরা নতুন প্রজন্ম। আমরা দেখেছি আমাদের পূর্ব প্রজন্ম তারা বিভাজনের রাজনীতির মধ্য দিয়েই আমাদের জাতিকে বিভক্ত করেছে। কে মুসলমান ? কে মুসলমান না ? কে ইসলাম পন্থি ? কে ইসলাম পন্থী না ? কে মাঝার পন্থী কে মাঝার পন্থী না , কে বাংলাদেশ পন্থী না ভারত পন্থী সেকুলার না ইসলাম পন্থী এই নানাবিদ বিভাজনের মধ্য দিয়ে যারা আমরা আছি আমাদেরকে বিভক্ত করেছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৩টায় দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে নির্বাচনী গণসংযোগে এক উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন।
ছবির ক্যাপশনঃ দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সংবাদ প্রকাশঃ ১৮-১২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন