
সিটিভি নিউজ।। বিল্লাল হোসেন, মুরাদনগর থেকে ঃ=================
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় ইয়াবাসহ আটকের পর পুলিশ হেফাজতে শেখ জুয়েল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাকে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে। তবে শেখ জুয়েলকে বিএনপি কর্মী দাবি করলেও কোন প্রমান পাওয়া যায়নি, তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঙ্গরা উত্তরপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী হেলাল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৭০ পিস ইয়াবাহসহ ৫ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, বাঙ্গরা গ্রামের মৃত কনু মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া (৪২), হেলাল মিয়ার স্ত্রী শারমিন ওরফে সখিনা বেগম (৩৫), মৃত শেখ ফখর মিয়ার ছেলে শেখ জুয়েল (৪৫), আজগর আলীর ছেলে খোকন মিয়া (৪৫) ও দৌলবাড়ী গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে মোঃ হান্নান (২১) । এ ঘটনায় সন্ধ্যায় এসআই তাহের ভুইয়া বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন।
রাত আনুমানিক ৮টায় আটক শেখ জুয়েল হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই তাকে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
খবর পেয়ে নিহতের বড় ভাই যুবদল নেতা শেখ শাহপরান রুবেলের নেতৃত্বে কিছু লোকজন তার ভাই শেখ জুয়েলকে বিএনপির কর্মী দাবি করে রাতেই বাঙ্গরা বাজার থানার সামনে মিছিল করেন। শেখ শাহপরান রুবেল তার ভাই শেখ জুয়েল পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছেন এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেন।
বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির চেয়ারম্যান বলেন, একটি রাজনৈতিক মহল শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে শেখ জুয়েলকে বিএনপির কর্মী বানিয়ে মিথ্যাচার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা করছে। আমার জানামতে নিহত শেখ জুয়েল ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছিলেন। তবে ইয়াবাহ ব্যবসায়ী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ ভাল বলতে পারবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা জানায়, শেখ জুয়েল ১৯৯১ সাল থেকে আওয়ামী রাজণীতির সাথে সম্পৃক্ত। এমনকি ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পরও তাকে বিএনপির কোন সভা-মিছিলে দেখা যায়নি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ৭০ পিস ইয়াবাহসহ ৩জনকে আটক করা হয়। এরমধ্যে শেখ জুয়েল অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জুয়েলকে পুলিশ কোন আঘাত করেনি। সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
কুমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার মিল্টন কুমার দেবনাথ বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টের সাথে আমরা লাশের শরীরের মিল পেয়েছি। পুরোপুরি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপসর্গ রেখেছি। আনুমানিক ৩ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেওয়া হবে। # #সংবাদ প্রকাশঃ ২০-০৬-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=