Tuesday, July 8, 2025
spot_img
More

    কালীগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত দুই কর্মী নিয়ে জামায়াত-বিএনপি ঠেলাঠেলী

    সিটিভি নিউজ।। মানিক ঘোষ,নিজস্ব প্রতিনিধি-===========
    সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয় দুই ভাই। নিহতরা জামায়াত নাকি বিএনপি কর্মী তা নিয়ে চলছে দল দুটির ঠেলাঠেলী। বিএনপি বলছে নিহতরা জামায়াত কর্মী আর জামায়াত বলছে তারা কোনদিনও তাদের কর্মী ছিলো না। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালা ইউনিয়নের।
    জানা যায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জামাল ইউনিয়নের বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির অপর পক্ষ আরিফ, লিটন, বুলু ও আশরাফের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে পহেলা জুন সকালে ইউনিয়নের নাকোবাড়িয়া গ্রামে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মহব্বত হোসেন নামের একজনের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে নেওয়ার পথে তিনি মারা যায়। আহত হয় তার ভাই ইউনুছ আলীসহ আরও ৪ জন। ঘটনার ৩ দিন পর মহব্বত আলীর বড় ভাই ইউনুছ আলী রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
    এ ঘটনার পর থেকেই নিহত দুই ভাইকে নিয়ে দায় এড়াতে শুরু হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের ঠেলাঠেলি। নিহতদের জামায়াত কর্মী বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও, শনিবার সকালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামায়াত সেই দাবি সাফ উড়িয়ে দিয়েছে।
    গত ১১ জুন উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দাবী করা হয় নিহতরা জামায়াত কর্মী। দীর্ঘদিন তারা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। প্রমাণ হিসেবে জামায়াতের একটি অনুষ্ঠানে নিহত ইউনুছ আলীর উপস্থিতির ছবি তুলে ধরা হয়।
    শহরের নলডাঙ্গা সড়কের কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু।
    এদিকে শনিবার সকালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামায়াত সেই দাবি সাফ উড়িয়ে দিয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের বাকুলিয়ায় জামায়াতের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল হক মোল্লা স্পষ্টভাবে বলেন, “নিহত মতব্বত আলী ও ইউনুছ আলী কখনও জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি জানিয়েছে জামায়াত নেতা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনোই হত্যার রাজনীতি করে না। কিন্তু গত ১১ জুন উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু নিহত ইউনুছ আলীকে জামায়াত কর্মী ও সন্ত্রাসী বলে দাবি করেন। অথচ বিএনপি কর্মী হত্যাকান্ডের পর বিএনপির জেলা ও উপজেলার একাধিক শীর্ষ নেতা নিহত ইউনুছ আলীকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করেন। যার ভিডিও আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশে নিহতের ভাই ইয়াকুব আলী বিশ্বাস বলেন, আমার ভাই বিএনপি কর্মী হওয়ায় আওয়ামী লীগের ভয়ে ১৬ বছর পালিয়ে ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দেশে এসে তার দল বিএনপি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হলো।
    লিখিত বক্তব্যে উপজেলা জামায়াতের আমির জোর দিয়ে বলেন, একজন ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই জামায়াতের কর্মী হতে পারে না। জামায়াতের কর্মী হওয়ার জন্য নিদ্দিষ্ট সিলেবাস ও কর্ম প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে আসতে হয়। কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বা এমন কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ আছে এমন ব্যক্তি জামায়াতের কর্মী হওয়ার ন্যুনতম কোন সুযোগ নেই। অথচ সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস রহমান মিঠু বার বার তাদের দলীয় কর্মীকে জামায়াতের কর্মী বলে প্রচার করার চেষ্টা করেন। এরমধ্যে দিয়ে জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপির এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান উপজেলা জামায়াত। সংবাদ প্রকাশঃ ১৫-০৬-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments