
সিটিভি নিউজ।। মোহাম্মদ আককাস আলী :সংবাদদাতা জানান ===গত দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে সারাদেশে। এ অবস্থায় দোকানে নির্দেশিত তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন ফার্মেসি ও দোকানে থাকা ওষুধের গুণগতমান কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রার কারণে কার্যকারিতা হারানো ওষুধে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
বিভিন্ন ওষুধের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ ওষুধের নির্দেশিকায় বা মোড়কে ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহের তাপপ্রবাহে নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওষুধ সংরক্ষণ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
কিছু মডেল ফার্মেসি ছাড়া বেশিরভাগ ফার্মেসিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের (এসি) ব্যবস্থা নেই। বাকিগুলোতে ফ্যান ও রেফ্রিজারেটর ছাড়া ওষুধ সংরক্ষণে কোল্ড চেইন ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক, ইনসুলিন, টিকা, অয়েন্টমেন্ট, জেল, ফুড সাপ্লিমেন্ট, ডায়াগনোসিস কিটের মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীর গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। এমনকি ওষুধ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা বাড়ছে।
এ বিষয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, সঠিক তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করা না গেলে ওষুধের গুণগত মান থাকে না বা কার্যকারিতা হারানোর ঝুঁকি থাকে। কিছু ওষুধ অনেক বেশি স্পর্শকাতর, যেগুলো রেফ্রিজারেটর করতে হয়। অ্যান্টিবায়োটিক, বিভিন্ন ধরনের হরমোন, ব্লাড প্রডাক্ট, যেগুলো বায়োসিমিউলেশন প্রডাক্ট অর্থাৎ বায়োমলিকুলার ওষুধগুলো উচ্চ তাপমাত্রায় নষ্ট হয়ে যায়। তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে। যেকারণে ফার্মেসি বা ওষুধের দোকানে প্রশাসনের তদারকি বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি বা ওষুধের দোকানের সংখ্যা ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৫টি। এর মধ্যে মাত্র ৫২৮টিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে বেশিরভাগ দোকানে সঠিক তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। সংবাদ প্রকাশঃ ১৫-০৬-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=