
সিটিভি নিউজ।। বিল্লাল হোসেন, মুরাদনগর থেকে ঃ=====
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কালারাইয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে ‘চুরি’র অভিযোগে গণপিটুনিতে সাদ্দাম হোসেন (৩২) নামে এক চোর মারা যায়। ঘটনার পর থেকে কালারাইয়া গ্রামের যুবক ও বৃদ্ধদের মধ্যে রয়েছে পুলিশী গ্রেফতার আতংক। অনেকেই নির্ভয়ে ঈদ বাড়িতে করতে পারেনি। আব্দুল মালেক ও আব্দুর রহমানসহ ৪/৫ জানায়, তাঁরা গ্রেফতার আতংকে রাতে বাড়ি থাকতে ভয় পায়। পাশাপাশি আরো অভিযোগ করেন, অজ্ঞাত ফোন নাম্বার থেকে ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলেন না, এমন অনেকেই ফোন দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করছে একটি চক্র। অর্থ না পেলে এই মামলায় তাদের নাম চার্জশীটভুক্ত করার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে!
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও রোয়াচালা গ্রামের লোকজন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে দাবি করেন, রোয়াচালা গ্রামের ইরন মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে গত ৯ মে রাতে চুরির অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনের পরদিন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক এবং অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদে কালারাইয়া গ্রামের লাডুম শাহ দরবারের খাদেম কাউছার মোল্লা ফোন করে রোয়াচালা থেকে সাদ্দাম হোসেনকে ডেকে বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী কালারাইয়া লাডুম শাহ দরবার শরীফের খাদেম আব্দুল হালিম বলেন, তিনি তাঁর পিতার মৃত্যুর পর থেকে দীর্ঘ বছর ধরে মাজার কমপ্লেক্সের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। হাফেজ কাউছার আলম মোল্লা লাডুম শাহ দরবারের কেউ না। মানববন্ধনে ও পত্রিকায় লাডুম শাহ দরবার শরীফের খাদেম হাফেজ কাউছার আলম মোল্লার নাম উল্লেখ করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে হাফেজ কাউছার আলম মোল্লা বলেন, নিহত সাদ্দাম হোসেনের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, আমি তাকে ফোন দিয়ে আনি নাই। ভোরবেলা এলাকার কিছু লোকজন একজন চোরকে আমার বাড়ি নিয়ে যায়। এজহারে আমার নাম না থাকার পরও একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে জড়িয়ে মানববন্ধনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানি করছে। আমি এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছি। একই এলাকার কাজী রাসেল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হোক। নিরপরাধ কোন ব্যক্তি যেন হয়রানির স্বীকার না হয়, প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
উক্ত ঘটনায় সাদ্দাম হোসেনের পিতা রোয়াচালা গ্রামের ইরন মিয়া বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেছেন। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সাদ্দাম হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ নিরাপরাধ কাউকে হয়রানি করছে না। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ প্রকাশঃ ১৪-০৬-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=