Friday, June 13, 2025
spot_img
More

    মোবাশ্বের আলম ভূইয়ার উপর হামলা- ভাংচুর থানায় মামলা

    সিটিভি নিউজ।। মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ (লালমাই) সংবাদদাতা জানান ====
    কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভুশ্চি এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ, লালমাই) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার গাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও ভুশ্চি করিম মজুমদার মার্কেটসহ মেজবান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও উক্ত আসনে বিএনপির সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনিরুল হক চৌধুরীর অনুসারীরা। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে ভুশ্চি বাজারে অবস্থিত আবদুল করিম মজুমদার মার্কেটে ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দিনব্যাপী বাগমারা উত্তর-দক্ষিণ, পেরুল উত্তর-দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ভুশ্চি বাজার হয়ে নাঙ্গলকোটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। ভুশ্চি বাজার পৌঁছেই মাগরিবের সালাত আদায় করে স্থানীয় করিম মজুমদার মার্কেটে অবস্থিত মেজবান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে নাস্তা করছিলেন মোবাশ্বের আলম ভূইয়া। এমন সময়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যম ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এবং জাতীয় পার্টির সাবেক হুইপ মনিরুল হক চৌধুরীর অনুসারী লালমাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো: ফরহাদ উদ্দিন ও যুবদল নেতা আবু হানিফের নেতৃত্বে বিএনপির ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মীরা রেস্টুরেন্টে অতর্কিত হামলা চালায়। একই সময়ে তারা মোবাশ্বের ভূঁইয়ার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়ির গ্লাসগুলো ভেঙ্গে ফেলে। সেই সাথে করিম মজুমদার মার্কেট ও মেজবান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টেও ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এই ঘটনায় লালমাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আসামীরা হলেন লালমাই উপজেলার পরতী গ্রামের মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ ফরহাদ উদ্দিন (৪৭), জামুয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জাকির হোসেন (৪০), পরতী গ্রামের মাওলানা আব্দুল লতিফের ছেলে কাজী জাফর আহম্মদ রাজন (৩৭), মৃত আলী আশ্রাফ মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন (৪৫), আমুয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবু হানিফ (৩৩), পরতী গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে ডাঃ জুবায়ের (২৭), সুলতান আহম্মদের ছেলে জয়নাল কাজী (৩৭),রহমতপুর চেঙ্গাহাটা গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে আবুল হাশেম (৫২), সর্ব থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লাসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।

    এব্যাপারে লালমাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন মজুমদার বলেন, লালমাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে যারা এতো দিন আওয়ামী লীগ করছে, লোটাস কামালের কর্মী বাহিনী, সরোয়ার সাহেবের চিহ্নিত সন্ত্রাসী তারা এখন মনিরুল হক চৌধুরী ও নেতৃত্ব নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়, এবং এই লোকগুলাই এই হোটেলটি ভাংচুর করে, ফাঁকা গুলি চালায়, গাড়িটি ভাংচুর করে হামলা করে, বর্তমানে তারা মনিরুল হক চৌধুরীর ব্যানারে বিএনপির হয়ে কাজ করছে,গত ৫ তারিখের আগে তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছে, এখন বিএনপির পদ পদবি নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতেছে।

    কেন্দ্রীয় নেতার সফরসঙ্গী লালমাই উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাবের আহমেদ (জাবেদ) জানান,ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী লোটাস কামালের সহচর সদর দক্ষিণ উপজেলার যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ। সে সবসময় সরকার দলের সাথে তালে তাল মিলিয়ে কাজ করে।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম লোকমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম, নেতা নামাজ পড়তে গেছেন, ফরহাদের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী এসে প্রথমে মেজবান হোটেলটি ভাংচুর করে, তারপর ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে রাখা মোবাশ্বের আলম ভূইয়ার গাড়িটি ভাংচুর করে এবং গাড়িতে থাকা কিছু নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।

    লালমাই উপজেলা ছাত্রদল নেতা, লালমাই উপজেলা কার্যক্রম বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব বি এই এল হাবিব ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অতি উৎসাহী হওয়া ভালো না। যে বা যাহারা মোবাশ্বের ভূইয়ার গাড়িতে হামলা করছেন তারা অন্যায় করেছেন! এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে।

    আল-আমিন অয়ন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়, এতে উল্লেখ করে বলেন, ফরহাদ ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যে তান্ডব চালিয়েছো এই গুলা পাবলিক ভয় পায় না, উল্টো তোমাকে থেরাপি দিয়ে দেওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।

    ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, আমি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান শেষ করে আসার পথিমধ্যে ( ভুশ্চি বাজারে) আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে দেখা করে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাই, নামাজ শেষ করে এসে দেখি স্থানীয় একটি হোটেল এবং আমার গাড়িটি ভাংচুর অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমাকে সেভ করে সরিয়ে নিয়ে আসে।

    লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, এই ঘটায় একটি মামলা হয়েছে, মামলার নাম্বার ৪৬/২৫, আসামি গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। সংবাদ প্রকাশঃ ১২-০৬-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments