
সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি/=================
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখেকুুমিল্লার দেবীদ্বারে শেষ সময়ে বেড়েছে কর্মকারদের কর্মব্যাস্ততা। কামারপল্লী গুলোর টুং টাং শব্দই জানান দেয় ঈদের আগমনী বার্তা। আর মাত্র দুইদিন বৃহস্পতিবার শুক্রবার পরেই শনিবার মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা পালিত হবে।
ঈদুল আজহা উৎযাপনের প্রয়োজনীয় অন্যতম উপকরণ দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতের নানা হাতিয়ার তৈরি করা হয় কামারশালায়। তাই সেখানে চলছে শেষ সময়ে কর্মকারদের এইসব হাতিয়ার তৈরির কাজ।
পশু জবাই কাজে ব্যবহারের জন্য ভালো মানের দা, ছুরি তৈরির কাজে গাড়ির স্প্রিংয়, ইস্পাত ও বিভিন্ন লোহার ব্যবহার করেন কামারপল্লীর কারিগরেরা। প্রথম ধাপে লোহা নরম করার জন্য তা আগুনে পুড়িয়ে নেন, এরপর লোহা গরম হওয়ার পর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দা, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করেন। তারপর তৈরি শেষে লোহা ঠান্ডা করার জন্য পানিতে ভেজানো হয় এবং এগুলোকে শাণ দিয়ে ধারালো করা হয়। শেষে কাঠের হাতল লাগানোর পর এসব জিনিসপত্র বিক্রি করার জন্য দোকানে সাজিয়ে রাখেন সারিবদ্ধভাবে। সারাবছর তেমন কাজ না থাকলেও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এভাবেই পশু কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় ধারালো অস্ত্র দা, ছুরি, চাপাতি, বটি-তৈরি ও শান দেওয়ার কাজে দিনরাত ব্যাস্ত সময় পার করেন কর্মকাররা।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এমন চিত্র দেখা যায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বিভিন্ন কামার পল্লীগুলোতে। সরেজমিনে বুধবার উপজেলার ফতেহাবাদ, পোনরা, রসুলপুর ও পুরাতন বাজারে ঘুরে দেখা যায় আগের মতো কামারপল্লীর সেই জৌলুস আর নেই। বাপদাদার পেশাকে অনেক কষ্ট ধরে রেখেছেন কেউ কেউ। কেউ আবার শুধু ঈদ উপলক্ষে কিছু বাড়তি আয়ের আশায় কাজ করছেন। দেবীদ্বার পুরাতন বাজারের কামার পল্লীতে হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখরিত কামার পাড়া। কয়লার আগুনে রক্তিম আভা ছড়ানো লোহার ওপর পড়ছে হাতুড়ির আঘাত। আঘাতের পর আঘাতে রূপ দেওয়া হচ্ছে চাপাতি, ছুরি, দা, বটিসহ নানা ধরনের ধারালো জিনিসপত্রের।
সুরঞ্জিত কর্মকার জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসায় শেষ সময়ে কাজের ব্যস্ততা একটু বেড়েছে, তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কাজ কম। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় এ বছর কয়লা এবং লোহার দামও বেড়েছে।
দিলীপ কর্মকার জানান, এখন বাজারে একটি বড় দা ওজন ও আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চাপাতি প্রকার ভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। আবার বিভিন্ন সাইজের ছোট ছোরা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, বটি দা সাইজ ও মানভেদে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া পুরোনো দা-বটিতে ধার (শান) দেওয়ার জন্য যারা আসছে তাঁদের যার কাছ থেকে যতটুকু চেয়ে নেয়া যায় সেভাবে চেয়ে নিচ্ছি। ছবির ক্যাপশনঃ দেবীদ্বারে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কামার পল্লীতে চলছে টুং টাং শব্দ। সংবাদ প্রকাশঃ ০৫-০৬-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=