
সিটিভি নিউজ।। মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, সংবাদদাতা মৌলভীবাজার জেলা== :
“মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার চৌমুহনায় টমটম পার্কিংকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে, যা রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ”
“এ ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধুসহ মোট ১৪ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। সংঘর্ষে ১৫টি টমটম ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয় এবং পথচারীসহ অন্তত ৩৯ জন আহত হন।”
“প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরের হবিগঞ্জ সড়কের গদার বাজার এলাকায় কয়েক মাস আগে বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধু ‘বিনা লাভের বাজার’ চালু করেন। তবে পূর্বে এটি ছিল টমটম চালকদের পার্কিং স্ট্যান্ড। রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় মধু মিয়া বাজার পরিদর্শনে এসে সেখানে টমটম পার্কিং করা দেখতে পান। এ নিয়ে চালকদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয় বলে জানা যায়। ”
“এ সময় সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আনার মেম্বার চালকদের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। “একপর্যায়ে মধু মিয়ার অনুসারীরা প্রায় ১৫টি টমটম ভাঙচুর করেন এবং পরবর্তীতে শহরের ভানুগাছ সড়কে এক পরিবহন শ্রমিক নেতার প্রাইভেট কারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
“টমটম চালকদের এলাকা পশ্চিম ভাড়াউড়ায় এ ঘটনার খবর পৌঁছালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রামবাসী লাঠিসোটা হাতে নিয়ে শহরের দিকে রওনা হন এবং মেয়রের বাসার দিকে আক্রমণ করতে আসেন।”
“এদিকে, শহরের চৌমুহনায় অবস্থান নেওয়া পুলিশ প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। অন্যদিকে, মেয়রের অনুসারীরাও স্টেশন রোড থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ সরে গেলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ।”
“হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩৯ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজন পথচারী, সবুজবাগ এলাকার জয় চৌধুরী, রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।”
“সংঘর্ষের ফলে শহরে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা লোকজন আতঙ্কে পালিয়ে যান এবং ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ৩টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার জেলা থেকে সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়।”
“সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মেয়রের বাসায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।” এরপর মহসিন মিয়া মধু, তার ছেলে মুরাদ হোসেন সুমন, ভাই সেলিম আহমদ, পৌর বিএনপির নেতা আলকাছ মিয়াসহ ১৩ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সেনাবাহিনী পশ্চিম ভাড়াউড়ায় অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য আনার মেম্বারের ছেলেকেও আটক করে।”
“শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আনিসুর রহমান জানান, সেনাবাহিনী মোট ১৪ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ঈদকে সামনে রেখে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, “সংঘর্ষটি দীর্ঘস্থায়ী হলে আরও বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত।” পুলিশ যখন পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছিল, তখন সেনাবাহিনীকে তলব করা হয়। বর্তমানে শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।” সংবাদ প্রকাশঃ ৩১-০৩-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=