
বাবার দাবী তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শাহেদের নেতৃত্বে কেিশারগ্যাং ধর্ষণপূর্বক হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়
পুলিশ বলছে প্রেমিককে বিয়ে করায় রাজী না হওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যা করে
সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ সংবাদদাতা জানান===
ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামে।
নিহত স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল মীম(১৪), জাফরগঞ্জ গঙ্গানগর এলাকায় বসবাসকারী ডিস লাইন কর্মচারী সবুজ মিয়ার বড় মেয়ে। সে জাফরগঞ্জ মাজেদা আহসান মূন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। তার বাবা সবুজ মিয়া জাফরগঞ্জ গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের ভাই হেলালের ডিস ও ওয়াইফাই লাইনের কর্মচারী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত স্কুল ছাত্রীর বাবা ডিস ও ওয়াইফাই লাইনের কর্মচারী সবুজ মিয়া, তার বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলার আহেলাপাতলাকাটা গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত: আব্দুল কাদের আখন্দ। সবুজ প্রায় ১৬ বছর পূর্বে জীবীকার তাগিদে জাফরগঞ্জ এলাকায় এসে দিনমজুরের কাজ শুরু করেন। কিছুদিন পর জাফরগঞ্জ বাজারের ডিস লাইন ও ওয়াইফাই ব্যবসায়ি হেলাল মিয়ার কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। পূর্বের সংসার থাকলেও আবারো বিয়ে করেন গঙ্গানগর গ্রামের। এখানেই ২ পুত্র সন্তান ও এক কণ্যা সন্তানের জনক হন। মেয়ে জান্নাতুল মীম (১৪) সবার বড়, সে জাফরগঞ্জ মাজেদা আহসান মূন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত। স্কুলে আসা যাওয়া পথে পাশর্^বর্তী ছয়গুরা গ্রামের সেলিম মিয়ার পুত্র বখাটে শাহেদ(১৬) নামে এক কিশোর তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্তক্ত করত। এ নিয়ে একাধিক সালিস হলেও শাহেদ শান্ত হয়নি। মীম প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তার বাড়িতে এসে একাধিকবার মারধর করে। বাবা সবুজ বাঁধা দিলে তাকেও একাধিকবার মারধর এবং বাসা ভাংচুর করে। প্রায় ৭ মাস পূর্বে পরিবারে নিরাপত্তাহীনতায় বাসা ছেড়ে ফতেহাবাদ ইউনিয়নের মোকামবাড়ি সরকার বাড়িতে ভাড়া বাসায় চলে যান। এরই মধ্যে মীমের সাথে শাহেদের প্রেমের সম্পর্ক গভীর হয়ে উঠে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০ টায় জান্নাতুল মীম গঙ্গানগর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসার কথা বলে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে ছয়গুরা গ্রামে শাহেদের বাড়িতে চলে আসে। শাহেদকে বিয়ে করতে চাঁপ প্রয়োগ করে। শাহেদ এতে রাজী না হওয়ায় মীম আত্মহত্যার হুমকী দেয়। এক পর্যায়ে মীম তার সাথে রাখা ঘুমের ৩০টি টাইমেক্স টেবলেট সেবন করে ফেলে। এতে মীম অসুস্থ্য হয়ে পড়লে শাহেদ তার বন্ধুদের সহযোগীতায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওখানে তার পাকস্থলি ওয়াস করার সময় বিকেল পৌনে ৫টায় মারা যায়।
নিহত মীমের বাবা সবুজ মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। দুপুরে তার কথিত প্রেমিক শাহেদের নেতৃত্বে কিশোরগ্যাংই তার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণপূর্বক হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, মেয়েটি প্রেমের টানে তার প্রেমিকের বাড়িতে যেয়ে বিয়ের চাপ দিচ্ছিল, রাজী না হওয়ায় সে বিষপানে আত্মহত্যা করে। বয়সে দু’জনই কিশোর কিশোরী। পরে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। নিহতের বাবার দাবী তাকে নেশাজাতীয় ঔষধ সেবনে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে মুখে বিষ ঠেলে দিয়েছে। কোতয়ালী থানা পুলিশ তার ছোরতহাল রিপোর্টে আঘাতের কোন চিহ্ন পায়নি। ছোরতহাল রিপোর্ট তৈরীপূর্বক ময়না তদন্তেনর জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই সঠিকটা বলা যাবে।
জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় শাহেদ ফোনে জানায় তার মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। তার পর থেকে শাহেদ ফোন কন্ধ করে দেয়। সন্ধ্যায় কুমেক হাসপাতালে যেয়ে দেখেন তার মেয়ে মেঝেতে মৃক অবস্থায় পড়ে আছে।
ছবির ক্যাপশন: নিহত স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল মীমের সংগৃহীত ছবি ও কুমেক হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সংগৃহীত প্রেমিক শাহেদের ছবি। সংবাদ প্রকাশঃ ২৮-০৩-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=