দেবীদ্বারে শিশুধর্ষণের মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ সংবাদদাতা জানান =====
দেবীদ্বারে শিশুধর্ষণ মামলার আসামী ৩ মাসেও গ্রেফতার হয়নি; মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষের হুমকীর মুখে নিরাপত্তা হীনতায় মামলার বাদী। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী করেও জীবন নাশের তাড়া পিছু ছাড়ছেনা হত দরিদ্র পরিবারটির।
ঘঠনার বিষয়ে সরেজমিনে জানতে আজ রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে ঘটনাস্থলে যেয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে গত ১১ জানুয়ারী সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশের পুকুর ঘাটে হাত-মুখ ধুয়ে শিশু(১০)টি ঘরে ফেরার পথে, পাশের ঘরে চাচা মো. জয়নাল আবেদীন(৪৫) মুখ চেপে তাকে পুকুর পাড়ের ঝোপের কাছে নিয়ে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত শিশুটি যেন পরিবারের কাউকে এ কথা না জানায়, জানালে তাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। শিশুটি ঘরে আসলে তার মা’ পরনের প্যান্ট রক্তে ভেজা কেন জিজ্ঞেস করলে শিশুটি জানায়, পুকুর ঘাটের পাশের বাঁশ ঝারের জিংলার খোঁচায় আঘাত পেয়েছে।
রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় দ্রুত তাকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখনই শিশুটি তার মা’কে সত্য ঘটনাটি বলে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কুমেক হাসপাতালে দেড় মাস চিকিৎসা দেয়ার পর ওখান থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (পিজি) হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে প্রায় ১৫ দিন চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে আসলেও এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে উঠেনি। শিশুটি ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে যেয়ে ভয়ে আতকে উঠে এবং ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে ফেলে।
ধর্ষক মো. জয়নাল আবেদীন উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের পুত্র অটো চালক ও ৫ সন্তানের জনক।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গত শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং নির্যাতিত শিশুটির খোঁজ খবর নেন বলেও পরিবারটি জানান।
মামলার বাদী মো. জালাল হোসেন বলেন, ধর্ষক আমার মামাতো (বড়) ভাই। সে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। তার ফাঁসী চাই। তার পক্ষে গ্রামের মাতব্বর জাহাঙ্গীর, রফিক, কবির, নাছির, মাহবুবের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহল মামলা তুলে নিতে আমাকে হুকী দিয়ে আসছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী থানায় সাধারন ডায়েরী করেও কোন প্রতিকার পাইনি, বরং হুমকীতে আছি। ২৭ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করি।
শিশু ধর্ষনের দায়ে অভিযুক্ত মো. জয়নাল আবেদীনের মা’ জানান, নির্যাতিত শিশু ঘটনার দিন ভয়ে বিষয়টি চাপা রাখে, নচেত ওই দিনই তাকে পুলিশে সোপার্দ করে দিতাম। শিশুটির বাবা দিনমজুর এবং মা ভিক্ষুক। পরিবারটির পক্ষে চিকিৎসা চালাতে কষ্ট হওয়ায় ছেলে (ধর্ষক)’র অটো রিক্সা, খড়ের পাড়া বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা জোগার করে দিয়েছি।
এব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, সংবাদ পেয়ে নির্যাতিতা শিশুর বাবাকে ডেকে এনে মামলা দায়ের করেছি। আসামী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। ভিক্টিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন এবং ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দী রেকর্ড সম্পন্ হয়েছে। এখন আসামী ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

ছবির ক্যাপশন : নির্যাতিা শিশু(১০)’র ছবি। সংবাদ প্রকাশঃ ১৬-০৩-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন