বুড়িচংয়ে পাহাড়পুরের পতিত জমিতে ১৭ বিঘা তিল, বিনা পরিচালকের পরিদর্শন

সিটিভি নিউজ।।    সৌরভ মাহমুদ হারুন  বুড়িচং প্রতিনিধি।। জানান =====
বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের বেলবাড়ি মাঠে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে পতিত জমিতে চাষকৃত
তিলের জমি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর পরিচালক
(গবেষণা) ও বিনা তিল-২ এর উদ্ভাবক ড. আব্দুল মালেক। পরিদর্শনকালে বিনা্থর মূখ্য বৈজ্ঞানিক
কর্মকর্তা ও গবেষণা সমন্বয়ক ড. মঞ্জুরুল ইসলাম, বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা ড. মো. আশিকুর রহমান ও অন্যান্য বিজ্ঞানীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বুড়িচংয়ের পতিত
জমিতে তিল আবাদ সম্প্রসারণের পরিকল্পনাকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায়
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে তিলের মাঠ ঘুরে দেখান। এ সময় স্থানীয় উপসহকারি কৃষি অফিসার মো.
শাহেদ হোসেন সহ তিল চাষী কৃষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রবি মৌসুমে সরিষা চাষের পর পাহাড়পুর গ্রামের বেলবাড়ি
মাঠের জমি গুলো পতিত থাকবে শুনে উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের তিল চাষের পরামর্শ দেয় ও বীজ
বিতরণ করে। তিল চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই শংকা প্রকাশ করে। তবে সকল শংকা কাটিয়ে
১৭ বিঘা জমিতে তিল চাষ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জমির পরিস্থিতি দেখে বিঘা প্রতি ১২-১৪ হাজার
টাকা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
পরিদর্শন শেষে ড. আব্দুল মালেক তিল চাষী কৃষকদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ
করেন ও তিল চাষের সম্ভাবনার কথা কৃষকদের সামনে তুলে ধরেন। তাছাড়া তিনি তিল চাষের কিছু
ব্যবস্থাপনা, বীজ সংগ্রহ ও বীজের সংরক্ষণ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি সহ
সকলেই পাহাড়পুড় গ্রামের মৌসুমি পতিত জমিতে প্রথমবারের তিল চাষের এ উদ্যোগের প্রশংসা
করেন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, গুণী ব্যাক্তিত্ব ও বিনা তিল-২ এর
উদ্ভাবক ড. আব্দুল মালেক সহ বিনা্থর বিজ্ঞানীবৃন্দের পতিত জমিতে তিলের জমি পরিদর্শন
আমাদের জন্য অনেক আনন্দের ও উ সাহের। পতিত জমি সমূহে তিল আবাদ সম্প্রসাণের উদ্যোগের
সাথে থাকার জন্য বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা কে ধন্যবাদ জানাই। বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের
উপযোগী জাত সমূহ বুড়িচংয়ের মাঠে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা আমরা ইতিমধ্যে
হাতে নিয়েছি।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাহাড়পুর গ্রামে বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লা থেকে সংগ্রহীত ৫
বিঘা বিনা তিল-২ প্রদর্শনী ও ৬ বিঘা বীজ সহায়তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি থেকে সংগ্রহীত
২ বিঘা বারি তিল-৪ এর বীজ সহায়তা ও উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে হোমনা উপজেলা থেকে
সংগ্রহীত ৪ বিঘা স্থানীয় জাতের তিল মিলে মোট ১৭ বিঘা পতিত জমিতে তিল অর্জিত হয়েছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২২-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

 

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ