নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লাইটার জাহাজ এমভি রূপসীর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ নৌ রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (২০ মার্চ) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে রামচন্দ্রপুর, চাঁদপুরগামী লঞ্চের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
এরআগে, রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকায় এমভি রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের ১৫ থেকে ২০ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
লঞ্চটিতে প্রায় ৫০/৬০ জন যাত্রী ছিল বলে বেঁচে ফেরা কয়েকজন যাত্রী দাবি করেছেন। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার পর ৮ জনের লাশ উদ্ধার হলো। এদের মধ্যে ২ পুরুষ, ৪ নারী ও ২ শিশুর লাশ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে ৪ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল আবেদীন ভূইয়া (৬০), মুন্সীগঞ্জের রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫) ও তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী।
এ ঘটনার পর নৌ পুলিশ মুন্সিগঞ্জের হোসেনদি এলাকা থেকে রবিবার সন্ধ্যায় ঘাতক জাহাজটি জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় জাহাজের ভেতরে থাকা ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে সোমবার ভোরে ডুবে যাওয়া এমএল আফসার উদ্দিন লঞ্চটি উদ্ধার করে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভেতরে কোনও লাশ পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ডসহ একাধিক সংস্থা অংশ নেয়।
লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ব্যাপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বজলুর রশিদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত বছরের ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় এসকেএল-৩ কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল সাবিত আল হাসান ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২১-০৩-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ