ঝালকাঠিতে লঞ্চ ট্রাজেডি: সুগন্ধা-বিষখালী নদীতে পোড়া লাশ ভাসছে !

সিটিভি নিউজ।।    মো:নজরুল ইসলাম,ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান ==  :: ঝালকাঠির বিষখালী নদীতে অজ্ঞাত দুজনের লাশ ভেসে উঠেছে। বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা সদরের কিস্তাকাঠি এলাকার সুগন্ধা নদীর চরে ভাসমান অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া এলাকার বিষখালী নদীর চর থেকে অজ্ঞাতনামা আরেক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশ দুটি সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে লাশ দুটির পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
উদ্ধার হওয়া নারীর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর এবং পরনে গোলাপি রঙের সালোয়ার-কামিজ আছে। আগুনে ঝলসানো লাশের চিহ্ন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিখোঁজ যাত্রীদের একজন। এদিকে উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। তাঁর পরনে কালো রঙের জিনসের প্যান্ট ও একটি গেঞ্জি ছিল। তাঁর পকেটে থাকা মানিব্যাগে একটি ছবি পাওয়া গেছে। তবে ছবিটি কার, সেটা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এ নিয়ে গত তিন দিনে সুগন্ধা ও বিষখালী নদী থেকে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হলো। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হলো।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিষখালী নদী থেকে উদ্ধার হওয়া দুই লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে সকাল থেকেই সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন প্রান্তে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ট্রলার ও নৌযান নিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধান করছেন। পাশাপাশি কোস্টগার্ডের সদস্যরাও তাঁদের সহায়তা করছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজাপুরের নাপিতেরহাট এলাকায় বিষখালীর নদীর চরে আরও একটি অজ্ঞাত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছেন। খবর পেয়ে সেখানে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার চরভাটারকান্দা থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুর পরিচয় মিলেছে। ওই শিশুর নাম মাহির হোসেন (১১)। সে চাঁদপুর জেলা শহরের মো. মাসুদ রানার ছেলে। মাহির ঢাকার মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকার একটি মাদ্রাসার ছাত্র।
মাহিরের বাবা মাসুদ রানা বলেন, মাহির অভিযান-১০ লঞ্চে নানির সঙ্গে সদরঘাট থেকে বরগুনার বেতাগীতে খালার বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিল। মধ্যরাতে লঞ্চে অগ্নিকান্ডের প্রাণ বাঁচাতে মাহিরের নানি জরিনা বেগম নাতিকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। কিছু দূর সাঁতরানোর পর জরিনা বেগম নাতিকে হারিয়ে ফেলেন। জরিনা বেগম সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মাহির নিখোঁজ ছিল।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৯-১২-২০২১ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ