কুমিল্লায় তিন বিকাশ প্রতারক আটক

সিটিভি নিউজ।।    নেকবর হোসেন   কুমিল্লা প্রতিনিধি  জানান ===
কুমিল্লা হাউজিংয়ের গোল মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী রাকিব স্টেশনারীর স্বত্বাধিকারী  ইমাম হোসেন। স্টেশনারি দোকানের পাশাপাশি বিকাশে লেনদেন করে থাকেন। তার দোকানের সামনের বাড়ির ভাড়াটে  বাসিন্দা রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার শাহদারা গ্রামের মৃত কাসিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ মুসলিম আলী মোস্তফা ও নাজনীন আরা দম্পতি। দীর্ঘদিন আসা যাওয়ার কারণে ভালো সখ্যতা গড়ে ওঠে, তারই সূত্র ধরে গত ৩ জুন ২০২১ ইং সকাল পৌনে ১০ টার দিকে ইমাম হোসেনের দোকানে এসে মোস্তফা বলেন তার ব্যাক্তিগত  মোবাইল (০১৯৬৯-৫১৮০৫১) নাম্বারে টাকা সেন্ড মানি করার জন্য,পূর্ব পরিচয়ের কারণে তিনটি নাম্বার থেকে এই নাম্বারে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা সেন্ড মানি করেন।দোকানে থাকা অবস্থায় আবার বলেন আরো একটি নাম্বারে ২৫৫০০ টাকা সেন্ড মানি করার জন্য। এবারও ২৫ হাজার ৫০০ টাকা সেন্ড মানি করে মোট ৫১  হাজার টাকা গ্রাহক মোস্তফার কাছে দাবী করলে মোস্তফার মোবাইলে টাকা যায়নি বলে দাবি করেন, এ সময় মোস্তফার মোবাইল চেক করলে দেখা যায় সে মুহূর্তের মধ্যে অন্য নাম্বারে টাকা টান্সফার করে ম্যাসেজ ডিলিট করে দেয়।এসময় মোস্তফার কাছে টাকা দাবি করলে মোস্তফা দেম দিচ্ছি করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে।সময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে ও কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা কি খবর দিলে থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় মোস্তফা তিনদিনের সময় চাইলে, মোস্তফার বাড়িওলা গোলাম মোস্তফা বাবুর হেফাজতে দেওয়া হয়,তিনদিনেও টাকার কোনো সুরাহা করতে না পারায় ইমাম হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালী  মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে কোতোয়ালি  মডেল থানা পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটক মোস্তফা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, সে ভুল করে ফেলেছে এবং ইমাম হোসেনের টাকা  পরিশোধ করে দেবে , তিনদিনেও কেন দিতে পারেননি এ প্রশ্নের জবাবে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি মোস্তফা।
অপরদিকে আরেক বিকাশ প্রতারক কাজী পলাশ নামের একজনকে আটক করেছে বাগিচাগাঁও এলাকার স্থানীয় দোকানদার, প্রতারক কাজী পলাশ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পবহাটি গ্রামের কাজী সাজ্জাদের ছেলে। অনার্স পাস পলাশ, বিগত তিনমাস ধরে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছে বলে জানায়। পলাশের প্রথম টার্গেট বিকাশ দোকান থেকে নম্বর সংগ্রহ করে ফরিদপুরের মিজান ও বগুড়ার হাবিবের কাছে নাম্বার গুলো পাঠানো এতে তাকে প্রতিদিন  দুই হাজার টাকা করে প্রদান করে থাকে হাবিব ও মিজান। আটক পলাশের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এবিষয়ে মামলার আইও রফিকুল ইসলাম জানান, ইমাম হোসেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই বিকাশ প্রতারককে আটক করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বখতিয়ার  উদ্দিন জানান, কুমিল্লায় অভিনব কায়দায় বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৩ বিকাশ প্রতারককে আটক করা হয়েছে এর মধ্যে দুইজনের বিরুদ্ধে একজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে, আরেক বিকাশ প্রতারককে আটক করতে সক্ষম হয়েছি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া দিন।সংবাদ প্রকাশঃ  ০৭২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ