কালিগঞ্জের রাজাকার আকবরসহ চার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত

সিটিভি নিউজ।।   তরিকুল ইসলাম লাভলু-      নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা:    মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) তদন্ত সংস্থার ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান সানাউল হক এ তথ্য জানান। এটি  তদন্ত সংস্থার ৭৯তম প্রতিবেদন।

তদন্ত সংস্থা জানায়, সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও দেবহাটা থানা এলাকার বাসিন্দা মো. আকবর আলী শেখসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। চার আসামির মধ্যে আকবর আলী ছাড়া বাকি তিনজন পলাতক।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগে এনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।

অভিযোগ-১ এ বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সময় ৪ ঘটিকার সময় রহমতুল্লা মোড়ল, তার পুত্র গোলাম মোস্তফা মোড়লকে সঙ্গে নিয়ে আকবর আলী সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন নলতা হাটে বাজার করতে যান।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছারুল মাহমুদ হাটে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কে একটি লাইনের বাস-গাড়িতে পাকিস্তানি আর্মি আছে সন্দেহে গ্রেনেড ছুড়ে মারে। কিন্তু এতে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে বিকেল ৫টার দিকে আসামিরা পাকিস্তানি আর্মি ইন্দ্রনগর মাদরাসায় একত্রিত হয়ে নলতা হাটে আক্রমণ করে। রাজাকাররা স্বরাব্দীপুর গ্রামের মাদার আলী গাজীকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় রাজাকারদের গুলিতে ইন্দ্রনগর গ্রামের আব্দুল রহমান ওরফে মেদু মোড়ল ও রহমতুল্লাহ মোড়ল গুরুতর আহত হন। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় রহমতুল্লাহ মোড়ল নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।

অভিযোগ- ২ এ বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে ৬ মে আনুমানিক ১২টার সময় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন ইন্দ্রনগর মাদরাসার রাজাকার ক্যাম্প থেকে আসামিরাসহ পাকিস্তানি আর্মি দেবহাটা থানাধীন হাদিপুর গ্রামের ঘোষবাড়িতে হামলা করে। সেখান থেকে নরেন্দ্রনাথ ঘোষকে আটক করে বাড়ির পেছনে নিয়ে গুলি হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তারা শরৎচন্দ্র ঘোষ, গোপিনাথ ঘোষ, হেমনাথ ঘোষ এবং ওয়াজেদ আলী বিশ্বাসকে আটক করে বাড়ির দক্ষিণ দিকে ডোবায় নিয়ে সারিবদ্ধভাবে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে রাখে। সেখানে নরেন্দ্রনাথ ঘোষের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বাধা দিতে গেলে আসামিরা তাকে আটক করে নির্যাতন করে। ঘোষ বাড়ির মালামাল লুটপাট করে এবং অগ্নিসংযোগ করে।

মামলার তদন্ত করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান কবীর। মামলায় ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।  সংবাদ প্রকাশঃ  ২৫-১০-২০২১ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ