ওরা অপকর্ম করেছে তাই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় ==ড. মঈন খান

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি মানুষের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা করে তাহলে আমরা এরই মধ্যে দেখিয়ে দিয়েছি মানুষ আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে। আওয়ামী লীগ চলে যাক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক। আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমিও তাদের অভিনন্দন জানাব। কিন্তু ওরা জানে ওরা কত অপকর্ম করেছে। তাই ওরা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন গলিতে বিএনপির একদফা দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফতুল্লার বিশাল সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, আজহারুল ইসলাম মান্নান, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।
তিনি বলেন, এ সরকার উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে। দেশনেত্রী আমাকে কিছুদিনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
আজ যখন সরকারের কেউ ১০ কোটি টাকা প্রকল্প নিয়ে যায় সরকার সেটিকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকা করে নিয়ে যেতে বলে। ৫০ কোটি করে ভাগাভাগি।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন গলিতে বিএনপির একদফা দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফতুল্লার সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এ সরকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। এ গণতন্ত্রকে আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই আজ নারায়ণগঞ্জের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে।
আপনাদের ফতুল্লা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু পুলিশের গুলিতে চোখ হারিয়েছেন। বিএনপির কত নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। তাদের এই আত্মত্যাগ যেন বৃথা যেতে না পারে। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা ও মানুষের গণতন্ত্র রক্ষা করা।
এ স্বৈরাচারী সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশ চালাচ্ছে। তারা দাবি করে তারা নাকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। যে সরকার গণতন্ত্র হরণ করে আজ অলিখিত বাকশাক কায়েম করেছে সে সরকার কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। এ সত্য আজ শুধু বাংলাদেশের ভেতরে নয়, বাংলাদেশের বাইরের মুক্তিকামী বিশ্বের প্রতিটি মানুষ এটি টের পেয়ে গেছে।
দ্রব্যমূল্যে মানুষের নাভিশ্বাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আজ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। রিজার্ভ এত দ্রুত কেন কমল তার জবাব এ সরকারকে দিতে হবে। যারা সুশাসনে বিশ্বাস করে তারা এদের বিরুদ্ধে। রিজার্ভ খালি করে ওরা আইএমএফের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছে। অর্থনীতিকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এর জন্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের মানুষ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা বলতাম পাকিস্তান ২২টি ধনী পরিবার সৃষ্টি করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। এ সালামরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অধিকার রক্ষা করার জন্য। আওয়ামী লীগ একই কায়দায় কতগুলো পরিবার সৃষ্টি করেছে যারা মানুষের সম্পদ বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ বলে বিএনপি জন্ম নাকি ক্যাটনমেন্টে। আমরা বলতে চাই বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে হয়নি, আওয়ামী লীগের জন্ম তো ক্যান্টনমেন্টে হয়নি। সে ব্যাপারে আমি কথা বলব না বললে তারা লজ্জা পাবে। আওয়ামী লীগের জন্ম তো গণতান্ত্রিকভাবে হয়েছিল। কেন তারা স্বাধীনতার দুই তিন বছরের মাথায় বাকশাল কায়েম করেছিল। বিএনপি গণতন্ত্র হরণ করেনি, উল্টো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
ডাক্তাররা বলেছে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হবে। সরকার মানবাধিকার ক্ষুন্ন করে তাকে আটকে রেখেছে। এর জবাব আওয়ামী লীগকে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করছি ক্ষমতার জন্য নয়। আমরা আন্দোলন করছি মানুষের ভোটের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করে থাকলে মানুষ তো তাদের ভোট দেবেই। স্পষ্ট করে বলতে চাই।
কাদেরকে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সালামের : ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, হাসিনার একটা সেক্রিটারি আছে। এ দলটা হলো ভুয়া। সকালে এক কথা বিকেলে আরেক কথা বলে। ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুর গিয়েছিল চিকিৎসা করাতে। এসে বিএনপিকে ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আমি ওবায়দুল কাদেরকে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলাম। পুলিশ র‌্যাব ছাড়া কোথায় যুদ্ধ করবেন বলেন। আমরা খেলতে রাজি আছি।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন গলিতে বিএনপির একদফা দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফতুল্লার সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এখনও সময় আছে। হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার কাছে হাত পা ধরে মাফ চান। তিনি মাফ করলে করতেও পারেন। খালেদা জিয়ার পা ধরে বলেন, আমি তত্বাবধায়ক সরকার দিতে রাজি। বলেন, আমাকে যেন গ্রেপ্তার হতে না হয়। নয়ত আওয়ামী লীগের চির বিদায় হবে নারায়ণগঞ্জ থেকে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের আর হাসান মাহমুদ। ওরা পুলিশ র‌্যাবকে বলে, তোমরা আমাদের ছেড়ে দিলে জনগণ আমাদের মারবে। তাই ওরা র‌্যাব ও পুলিশ দিয়ে খেলতে চায়। সেই খেলা তো ফেয়ার খেলা হবে না। এত যখন শক্তি মন্ত্রীত্ব বাদ দিন। পাবলিক হয়ে আসুন। আপনিই বলেছেন ক্ষমতা না থাকলে এক রাতেই আওয়ামী লীগ শেষ। তার ভাই মীর্জা কাদের বলেছে ওবায়দুল কাদের ও আওয়ামী লীগ ভালো নির্বাচন হলে পালানোর দরজা খুঁজে পাবে না।
সাত খুনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আপনারা কী সাত খুন ভুলে গেছেন। এ হাসিনার মন্ত্রী মায়া বড় বড় কথা বলে। তার জামাই তারেক সাইদের নেতৃত্বে যেভাবে খুন করেছেন এ খুনের আলামত কী শেষ হয়ে গেছে। এ এলাকায় আমাদের বিএনপির কাউন্সিলরকে অন্যায় ভাবে এ মামলায় ফাঁসিয়েছিলেন। সে বেকসুর খালাস পেয়েছে আর তার ফাঁসির দড়ির সামনে ঝুলছে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটাবো : ইশরাক : আমরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ একসঙ্গে ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটাবো বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন গলিতে বিএনপির একদফা দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফতুল্লার সমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশ টিকে থাকবে কি না তা নির্ভর করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ওপর। আমরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ একসঙ্গে ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটাবো।
তিনি বলেন, আমি এখানে আমন্ত্রিত ছিলাম না। আমি শুধু একজন কর্মী হিসেবে এখানে এসেছি। আপনারা জানেন দেশ আজ ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার বাসায় অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকার। আমাদের নেত্রীকে সুরক্ষা দিতে না পরালে নিজেদের কী সুরক্ষা দেব? কোন মুখে আমরা বলব গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব? এই প্রশ্নটা আপনাদের কাছে রেখে গেলাম।

সংবাদ প্রকাশঃ ২৭০৯২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like>  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ