ইউএনও’র নাম ভাঙ্গিয়ে মহাদেবপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

সিটিভি নিউজ।।   মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :- শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর মহাদেবপুরে ফসলি জমিতে অবাধে কাটা হচ্ছে পুকুর। এতে করে আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। এ জেলায় উৎপাদিত খাদ্যশস্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণসহ বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখে।
বর্তমানে সেই ফসলি জমিগুলোতে অবাধে চলছে পুকুর খনন। কখনও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে দিনের বেলায় আবার প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের বেলাতে চলছে এসব পুকুর খনন। ফলে দিনদিন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে চাষের জমি।
এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দিনরাত পুকুর খনন করে সেই মাটি জেলার মহাদেবপুর, পতœীতলা, মান্দা ও নওগাঁ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় বেঁচে দিচ্ছেন। এতে কৃষক হারাচ্ছেন তাঁদের উর্বর জমির উপরিভাগ। অন্যদিকে সেই সব ব্যবসায়ীরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলি জমিতে খনন যন্ত্র দিয়ে জমি খনন করে পুকুর তৈরি করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন জমির শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে, অন্যদিকে আবাদি জমিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ব্যহত হচ্ছে সেচব্যবস্থাও। নদীনালা, খালবিল বাদে এ উপজেলায় প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে।
শ্রেণিভেদে এসব জমিতে প্রায় সারা বছরই কোনো না কোনো ফসল আবাদ হয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে দিন দিন কমে যাচ্ছে এসব ফসলি জমি। এসব পুকুর খননে স্থানীয়রা বাধা দিলে অনেক সময় এসব ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক প্রভাব এবং ক্ষমতার দাপট দেখান বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সফাপুর ইউনিয়নের তাতারপুর মৌজার প্রায় ১ একর জমিতে স্থানীয় আওয়ামীল নেতা ও মহাদেবপুর কৃষি ও কারিগরি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ময়নুল ইসলাম ভূমি আইন উপেক্ষা করে এই পুকুর খনন করছেন। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পুকুর খননের বিষয়টি স্থানীয়রা গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ময়নুল ইসলাম বলেন, তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং গত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সফাপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাছাড়া ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতিক্রমে এ পুকুর খনন করছি।’ গণমাধ্যমকর্মী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতিপত্রটি দেখতে চাইলে ২দিন অতিক্রম হওয়ার পরও তিনি তা দেখাতে পারেননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘যত্রতত্র পুকুর খননের ফলে ফসলি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এতে ফসলের উৎপাদন কমছে। ঘটনাটি আমার জানা নেই, তবে আমার জানামতে, তার পুকুর খননের কোনো অনুমতি নেই।’ মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুকুর খননের অনুমতি দেয়ার কোনো প্রশ্নই উঠেনা, এ উপজেলায় কোথাও কোনো পুকুর কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৭১২২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ