সিটিভি নিউজ।। ফয়েজুল ইসলাম ফয়সাল, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ ধর্ষিতার। বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লার নারী-শিশু আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালত কুমিল্লাস্থ পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার আদালত থেকে মামলার নথি পিবিআই কার্যালয়ে পৌছায়।
মামলার বিবরণ ও ধর্ষিতার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকি গ্রামের এক সিএনজি চালকের স্ত্রী একটি বাসগৃহের জন্য আবেদন জানায় ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের কাছে। এরই সুত্র ধরে ওই গৃহবধূকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে একটি ঘর দেয়ার আশ্বাসে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন করে তার বাড়ীতে যাতায়াত শুরু করে মজিবুর রহমান। এক পর্যায়ে তাকে মেলামেশার প্রস্তাব দিলে গৃহবধূ রাজী না হলেও ঘর দেয়ার প্রলোভনসহ নানা কৌশলে তাকে বেশ কয়েক দফা ধর্ষণ করা হয়। সরকারি বরাদ্দে ঘর না পাওয়ায় ধর্ষিতা ইউপি সদস্যকে চাপ দিতে থাকে। সর্বশেষ গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূকে ফের ধর্ষণ করতে যায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য। এ সময় বাধাঁ দিলেও সে জোর পুর্বক ধর্ষণ করলে গৃহবধূ চিৎকার করলে আশ-পাশের লোকজন এসে ধর্ষিতাকে উদ্ধারপূর্বক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ধর্ষিতা কিছুটা সুস্থ্য হয়ে ঘটনার দু’দিন পর থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা মামলা গ্রহন না করে আদালতে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের করলে আদালত ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কুমিল্লাস্থ পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।
তবে ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওই গৃহবধূকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। আমি ওই গৃহবধূকে চিনি না, এসব ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই, ষড়যন্ত্রকারীরা আমার বিরুদ্ধে একে একে চারটি মামলা দিয়েছে। তদন্তেই সত্য উদঘাটন হবে দাবি ওই ইউপি সদস্যের।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম মিয়া বলেন, আদালত থেকে ধর্ষিতার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তাকে মেডিকেল চেকআপসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত এবং স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামন তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার কাছে কেউ এ ধরণের অভিযোগ করতে আসেনি। যদি কেউ অভিযোগ করতো তাহলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতো। # #সংবাদ প্রকাশঃ ০২–১০–২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24 এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)