তিতাসে লম্পট মোতালিব অপরহণ করেছে শাবনূরকে

সিটিভি নিউজ।।    হালিম সৈকত,  কুমিল্লা।।  সংবাদদাতা জানান –==
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের গরিব ও অসহায় মোঃ তারা মিয়ার ১৮ বছরের মেয়ে শাবনূরকে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩ টায় নারায়নপুর থেকে একই গ্রামের এসডু মিয়ার ছেলে মোঃ মোতালিব প্রকাশ জাবেদ ২/৩ জনকে সাথে নিয়ে কালো রং এর একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে তিতাস থানায় অপহৃতের মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে মোতালিব,  তার বাবা এসডু মিয়া,  তার মা রুনু বেগমসহ আরও ২/৩ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
পরে শাবনূরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিমাংসার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
বর্তমানে মেয়ে তার বাবা মার কাছে রয়েছে।
 শাবনূর, থানার অভিযোগ ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোতালিব বিবাহিত এবং ১ সন্তানের জনক। তার ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।  প্রায় ৫ বছর আগে সে দাউদকান্দি উপজেলার হাসেরখোলা গ্রামে বিয়ে করে।
ঐ বউকে রেখে সে মোবাইলে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে ও কথা বলে। বউকে কোন পাত্তা দেয় না বিধায় সে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকে। সেই ঝামেলা শেষ না করেই মোতালিব একের পর এক নানা ঘটনা ঘটাতে থাকে।
নিরীহ শাবনূরকে সে বিভিন্ন সময় ডিস্টার্ব করতে থাকে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখায়।  রাস্তাঘাটে সে শাবনূরের পথরোধ করে কিন্তু শাবনূর তাকে পাত্তা দেয় না। কিছুদিন পর মোতালিব শাবনূরের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু তার বউ সন্তান থাকায় শাবনূর ও তার বাবা মা তাকে ফিরিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় লম্পট মোতালিব। নদীর ঘাটে,  রাস্তাঘাটে, এমনকি মোবাইল ফোনে শাবনূরকে উত্যেক্ত করতে থাকে।
কোন উপায় না দেখে শাবনূরের মা বাবা তাকে কুমিল্লা পাঠিয়ে দেয়।  সেখানেও হানা দেয় মোতালিব। কিন্তু সেখানে শাবনূরের দুলাভাইয়ের কারণে সুবিধা করতে না পেরে  ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে অপহরণ করে ঢাকার কদমতলীতে রতন নামে এক ব্যক্তির বাসায় তাকে ৩ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করে। এবং বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে।  কিন্তু শাবনূর তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে।  পরে সে শাবনূরকে নিয়ে কুমিল্লা যাওয়ার পথে লোকজন তাকে আটকিয়ে শাবনূরকে উদ্ধার করে বাসায় ফেরত দিয়ে আসে। এ সময় সে বিভিন্নভাবে শাবনূরকে হুমকি দিচ্ছে মামলা করলে তার পরিবারকে শেষ করে দিবে।  প্রতিনিয়ত সে শাবনূরকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে।
শাবনূরকে ছাড়াও সে আরও কয়েকটি মেয়ের সাথে ঘটনা ঘটিয়েছে।  শালিসবিচার করে সুগুলো সমাধান হয়েছে। মেয়েদের সাথে রিলেশান তৈরি করাই তার কাজ। তার প্রতম স্ত্রীকে সে কলেজ থেকে উঠিয়ে এনে বিয়ে করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে ভিকটিম শাবনূর বলেন, মোতালিব এখনো আমাকে বিরক্ত করে। মোবাইল করে হুমকি দেয়।  সে আমাকে হুমকি দেয় তাকে বিয়ে বা করলে সে আমাকে খুন করবে।  সে আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।  শাবনূর আরও বলেন, আমি পাষন্ড মোতালিব এর বিচার চাই।
এই বিষয়ে তিতাস থানার এএসআই মোঃ সুমন বলেন, শাবনূরের মা একটি অভিযোগ আমার কাছে দিয়েছেন।  আগামী শুক্রবার এলাকার সাহেবসর্দারগণ বিষয়টি মিমাংসা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুজনকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ মোতালিব প্রকাশ জাবেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সে কথা বলতে নারাজ। তার মোবাইল নম্বরে কল করা হলে সে মোতালিব নয় বলে জানায়।  এবং নানা ছলছাতুরি করতে থাকে।সংবাদ প্রকাশঃ  ১৮২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ