হাসিনা-মোদির ভার্চুয়াল বৈঠক

সিটিভি নিউজ।।    বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যুগান্তকারী সহযোগিতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তার সরকার প্রতিবেশীর অগ্রাধিকার নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে এবং সেই নীতির এক নম্বর স্তম্ভ হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার এই নীতি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমার অগ্রাধিকারে রয়েছে।’

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সহযোগিতামূলক ঐকমত্য রয়েছে, তার সুযোগ নিয়ে দুই দেশই নিজ নিজ অর্থনীতিকে আরও সংহত করতে পারে। উভয় দেশ বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ভ্যালু-চেইন আরও সমৃদ্ধ করতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক নির্ভরতাকে আমরা আনন্দের সঙ্গে স্বীকৃতি দিই। দুই দেশের সম্পর্ক একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত অতিক্রম করছে জানিয়েছে তিনি বলেন, একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠারও ৫০তম বছরে পা রেখেছে বাংলাদেশ-ভারত।

করোনা মোকাবেলায় ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ভারত এবং বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলেও এ সময় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে গণভবন থেকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লি থেকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন। তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন। তাদের এ বৈঠকের আগে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি, সামাজিক উন্নয়ন, কৃষিসহ সাতটি বিষয়ে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগ প্রকাশিত একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত এবং বঙ্গবন্ধু-বাপু (মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ির মধ্যে রেল করিডোরেরও উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, উভয় দেশ বিদ্যমান সহযোগিতামূলক ঐকমত্যের সুযোগ নিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে আরও সংহত করে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ভ্যালু-চেইন আরও সমৃদ্ধ করতে পারে। আমাদের চলমান যোগাযোগের উদ্যোগগুলো এক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ পুনরায় চালু করা।’

‘বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক নির্ভরতা আমরা আনন্দের সঙ্গে স্বীকৃতি দিই,’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের উৎপাদন ও সেবাখাতে নিযুক্ত রয়েছেন এবং তারা নিজ দেশ ভারতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক পর্যটক এবং চিকিৎসাসেবা গ্রহণকারীকে ভারত গ্রহণ করে।’ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত অতিক্রম করছে, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠারও ৫০তম বছরে পা রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করছি। মাত্র কয়েক মাস আগে, আপনাদের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী আমরা উদযাপন শেষ করেছি। বাংলাদেশে আমরা বাপুজির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে একটি বিশেষ ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছি। আমরা আজ বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগের একটি স্ট্যাম্পের উদ্বোধন করব।’

এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলো যৌথভাবে উদযাপনের জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে একত্রিত হওয়ায় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার এবং জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মানুষ আনন্দ, মুক্তি এবং উদযাপনের চেতনায় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে।’ এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং আন্তরিক সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ভারত সরকার ও জনগণকে জানাই কৃতজ্ঞতা।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিনটিকে নিয়ে তার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমার জন্য একটি বিশেষ দিন। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অধীনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তখনও আমার মা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব, বোন শেখ রেহানা, ভাই শেখ রাসেল এবং চার মাসের ছোট্ট পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ১৭ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত বন্দি ছিলাম। ভারতের কর্নেল অশোক তারা (তৎকালীন মেজর) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বন্দিদশা থেকে আমাদের মুক্ত করেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্ত হলেও আমরা মুক্ত হয়েছিলাম ১৭ ডিসেম্বর। আজকেই সেই দিনটি।’

তিনি বলেন, ‘আমি কর্নেল অশোক তারার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনী সবার প্রতিই আমার ধন্যবাদ। সেদিন আমরা যারা মুক্ত হয়েছিলাম তাদের মধ্যে আমি, রেহনা এবং জয়-আমরা তিনজনই বেঁচে আছি, আর কেউ বেঁচে নেই (৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন বঙ্গমাতাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা)।’

‘ভারতকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু’ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী, ২০১৯ সালের অক্টোবরে নয়াদিল্লির গ্র্যান্ড হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তার সর্বশেষ বৈঠক এবং ভারতের আতিথেয়তার কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী এর পরই কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উদ্ভবে বিশ্বব্যাপী লাখো মানুষের মৃত্যু, জীবন-জীবিকা বাধাগ্রস্ত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘সম্ভবত কোভিড-১৯ মহামারির সবচেয়ে বড় বহিঃপ্রকাশ হলো মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা।’

তিনি বলেন, ‘এই বছরের গোড়ার দিকে ঢাকায় আপনাকে স্বাগত জানানোর ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে গেছে। তবুও, আমাদের গত শীর্ষ সম্মেলনের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী, এই ক্রান্তিকালে উভয়পক্ষের সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেভাবে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিয়েছে-তা প্রশংসাযোগ্য।’
তিনি ২০২০ সালজুড়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান রেল রুট দিয়ে বাণিজ্য, উচ্চ-পর্যায়ের পরিদর্শন ও সভা, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারতীয় পণ্যসামগ্রীর প্রথম পরীক্ষামূলক চালান প্রেরণ এবং কোভিড-১৯ বিষয়ে সহযোগিতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা ভারতের মতো জনবহুল দেশে কার্যকরভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত ও জনবহুল অঞ্চলে কোভিড-১৯ যেভাবে আপনার সরকার মোকাবেলা করেছে তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজগুলো ছাড়াও, ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর উদ্যোগে প্রবর্তিত অর্থনৈতিক প্যাকেজগুলো প্রশংসনীয়। আমরা বিশ্বাস করি, আপনার গৃহীত নীতিমালার মাধ্যমে ভারত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

এ সময় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশেও আমরা এই মহামারির অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব উপশম করতে ১৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।’

তিনি বলেন, মার্চের গোড়ার দিকে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরে সরকার আড়াই কোটিরও বেশি মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য সামাজিক সুরক্ষার আওতা সম্প্রসারিত করেছে। একই সঙ্গে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে, আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইনে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটা এবং ভোক্তাদের চাহিদা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা আগামী বছর ঢাকায় ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। এ জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনী ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সব ভারতীয় নাগরিকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সব ভারতীয় নাগরিকের পক্ষ থেকে আমি শুভ কামনা জানাই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করাকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি।’ এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আত্মত্যাগকারী সবার প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে বলেন, ‘আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সম্মানজনক।’ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের এক দিন পরে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য গর্বের যে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় আমি আপনার সঙ্গে একসঙ্গে উদযাপন করছি।’

তিনি বলেন, ‘গত বুধবার বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি জাতীয় ওয়ার মেমোরিয়াল পরিদর্শন করি এবং একটি বিজয় মশাল প্রজ্বালন করি। এই মশাল সারা ভারতে ঘোরানো হবে এবং ভারতীয় শহীদদের গ্রামে নেওয়া হবে।’ বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতে একাধিক কর্মসূচি পালিত হবে বলেও তিনি জানান। বঙ্গবন্ধুর বার্তা চিরজীবী জানিয়ে শেখ হাসিনাকে তিনি বলেন, ‘এটি আমার জন্য সম্মানের যে আমি আপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ওপর ডাকটিকিট অবমুক্ত এবং বাপু-বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল এক্সিবিশন উদ্বোধন করছি। তারা আমাদের তরুণদের সব সময়ই উদ্বুদ্ধ করে যাবেন।’

চলমান এই বছরটি মহামারির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, তবে এর মধ্যেও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভালো সহযোগিতা ছিল এবং ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও দুই দেশের সহযোগিতা আছে বলে জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, সংকটের এই সময়ে স্বাস্থ্য, কোভিড-১৯, টিকার মতো বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সার্ক কাঠামোতে দুই দেশ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমাদের অংশীদারিত্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্থল সীমান্ত বাণিজ্যে সমস্যা কমাতে পেরেছি, কানেকটিভিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নতুন নতুন জিনিস যোগ হয়েছে। এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে আমরা সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই।’

তাদের এই বৈঠকের আগে বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষি, পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার সাতটি কাঠামো চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এসব সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে স্ব স্ব বিভাগের প্রধান কর্মকর্তারা এবং ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে ভার্চুয়াল দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব চুক্তি স্বাক্ষর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া, ৫৫ বছর পর আবারও নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত থেকে পশ্চিমঙ্গের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগেরও উদ্বোধন করা হয়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ওই রেলপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৮১২২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ