সবধর্মের মানুষের কাছে দর্শনীয় স্হানে পরিনত হয়েছে কুমিল্লার চন্ডীমুড়া সেবাশ্রম

সিটিভি নিউজ।।  অধ্যাপক রাহুল তারণ পিন্টু লেখক ও কলামিস্ট ঃ       চন্ডীমুড়া সেবাশ্রম ।শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাম্বলীদের তীর্থ স্হান হলে ও প্রাচীন ঐতিহ্য ও নির্মানশৈলী, স্হাপনা সবধর্মের মানুষের কাছে দর্শনীয় স্হানে পরিনত করেছে।
কুমিল্লা মহানগরী থেকে ১০/১২ কিলো মিটার দুরে কুমিল্লা -বড়ুরা উপজেলা সড়কের উপরই এই মহাতীর্থ চন্ডীমুড়ার প্রধান ফটকটি যে কারোর দৃষ্টিতে পড়বেই।
সমতল ভুমি থেকে পাকা সিঁড়ি বেয়ে প্রায় ১৭০/১৮০ ফুট উপরে বেশ কিছুটা সমতল ভুমি তে এর অবস্হান। সমুদ্র বেস্ঠিত পলল গঠিত চত্বর ঘিরে সমভুমিতে উদ্ভাসিত দুইটি মন্দির ।যা কুমিল্লা – চাঁদপুর মহাসড়ক থেকে ও পথচারীদের দৃষ্টিতে ধরা দেয়।
৭ম শতাব্দীতে বৌদ্ধরাজ দেবগড়কের সনাতনধর্মী স্ত্রী প্রভাবতী দেবী অমরকৃত্তি স্হাপনে মনোবিস্ট হইয়া পাশাপাশি দুটি মন্দির স্হাপন করেন। একটি চন্ডী মন্দির যাতে অস্টভুজা সর্বাণী মহা সরস্বতী ও অন্য মন্দির শিব মন্দিরে দেবতা শিব অধিস্ঠিত করেন।মন্দিরগুলোর স্হাপত্য শৈলী ও কারুকার্য ব্যতিক্রমী।একটি দরজা কিন্তু নেই কোন জানালা।
তিনি লালমাই পাহাড়ে অবস্হিত চন্ডীমুড়ার নীচে সমতল ভুমিতে এক বিরাট দীঘি খনন করেন।এই দীঘির দুই পাশ দিয়ে এখন কুমিল্লা -চাঁদপুর কুমিল্লা -বড়ুরা সড়ক।
১৭০০ খ্রীস্টাব্দে ত্রিপুরা রাজপরিবারের মহারাজ মানিক্য বাহাদুর এই দীঘি পুনঃখননও মন্দির গুলো পুনঃসংস্কার করেন। জানা যায় চম্পক নামে এক যুবরাজ তার বোন দূতিয়ার নামে এই দীঘীর নামকরন করেন দূতিয়ার দীঘি। আবার কারো মত,ত্রিপুরা রাজপরিবারের বধু দ্বীতিয়া দেবীর নাম অনুসারে এর নাম রাখা হয় দূতিয়ার দীঘি।
এই ঐতিহ্য সমৃদ্ধ মন্দিরগুলো পরবর্তীতে অযত্ন ও অবহেলায় ধ্বংসের মুখে চলে গিয়েছিল, জঙ্গল হয়ে সপদ সংকুল হয়ে পড়ে ছিল বলে আমি স্বামী আত্ননন্দজীর মুখে শুনেছিলাম ।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২-৭৩ সনে কুমিল্লা জেলার বড়ুয়া থানার ঘোষপা গ্রামের স্কুল শিক্ষক মনীন্দ্র দাস স্বপ্নাদিস্ট হয়ে নিজে ও তার এক সহকর্মী নিয়ে সপদসংকুল পরিবেশ মুক্ত করে মন্দিরগুলোকে দৃস্টিগোচরে নিয়ে আসেনএবং আরও অনেক স্হাপনা নির্মান করেন।গীতা পরিষদ গঠন করে নিয়মিত গীতাপাঠ ও আলোচনা সুযোগ করেন।এই মহতী মানুষ টি পরবর্তী তে স্বামী অমৃতানন্দ মহারাজ।
কুমিল্লা জেলা পরিষদের সহযোগিতায় পাকা সিঁড়ি নির্মিত হয়ে সর্বসাধারণের উপরে উঠানামা সহজসাধ্য করে দিয়েছে।
দর্শনীয় ও ঐতিহ্য ময় স্হাপনা গুলো পুনঃসংস্কার করে আর্কষনীয়ও বিনোদন ও নিরিবিলি সাধনার স্হানে পরিনত হয়েছে মহাতীর্থ চন্ডিমুড়া মন্দির। 

সংবাদ প্রকাশঃ  ১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ