পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ

সিটিভি নিউজ।।    বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত খালাসে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো পৃথক চিঠিতে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজের বাজার আংশিক আমদানি নির্ভর একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। নিকট অতীতে পেঁয়াজের বাজার বেশ কয়েকবার অস্থিতিশীল হয়েছে। গত অর্থবছরে এ সংকট মারাÍক আকার ধারণ করেছিল। এবার যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, বর্তমানে পেঁয়াজের মূল্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়া এর একটি অন্যতম কারণ। গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বর-মার্চ সময়ে পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক ছিল না, তারপরও আমদানি হ্রাস পাওয়ায় এ সমস্যা দীর্ঘায়িত হয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় অনুৎপাদনশীল সময় হিসেবে পরিচিত সেপ্টেম্বর-মার্চ সময়ে দামে

নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপর এক চিঠিতে আমদানি করা পেঁয়াজ স্থলবন্দর (বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদ, হিলি) এবং সমুদ্র বন্দর থেকে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গত ১ মাসের বাজার দর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাবে দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ২৫-৩০ টাকা কেজি দরের আমদানি করা পেঁয়াজ এখন কিনতে হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। দেশি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে। যা ২ দিন আগেও কোনো কোনো বিক্রেতাকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। ক’দিন আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা। রাষ্ট্র্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির বৃহস্পতিবারের বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, গত ১ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ৬০ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৭২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আজকেই মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকটি টিম আমদানি কার্যক্রম দেখতে বেনাপোল ও হিলিতে যাবে। সেখানে দেখবে আমদানির কি অবস্থা। তবে দাম ভারতেও বেড়েছে, বন্যার কারণে চলাচলে সমস্যা হয়েছে। তিনি বলেন, টিসিবি বড় পরিসরে নামছে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে টিসিবি খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে। এবার আমরা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করব।

গত বছর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় আমদানির পথ খুলেছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, গত বছর আর এ বছরের মধ্যে পার্থক্য হল- গত বছর ভারত পেঁয়াজ বন্ধ করে দিয়েছিল ২৯ সেপ্টেম্বর। এবার ভারত কিন্তু বন্ধ করেনি। গত বছর বন্ধ করে দেয়ায় এখানকার ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে। ভারতও তখন ১৫০ রুপিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছিল। ভারত বন্ধ করে দেয়ার কারণে আমরা নতুন বাজার থেকে আমদানি করতে শিখেছি। তুরস্ক, মিসর, ইন্দোনেশিয়া থেকে গতবার পেঁয়াজ আসার কারণে এবারও আমাদের লোকজনের যোগাযোগ ভালো আছে। আমরা তুরস্ক থেকে আমদানির জন্য টেন্ডারও করেছি টিসিবির মাধ্যমে।  সংবাদ প্রকাশঃ  ১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ