ঘুরে এলাম কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওড়

সিটিভি নিউজ।।   মোঃআবদুল আউয়াল সরকার,   কিশোরগঞ্জ থেকে ফিরে এসে।
কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরগুলো যেন প্রকৃতির অশেষ দান। এখানে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে আনন্দের ঢেউ তুলবেই। এই অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে বন্ধুদের নিয়ে ঘুড়ে এলাম।
নীল আকাশ যেন তার সকল সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে হাওরে। দূরের আকাশকে স্পর্শ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে শান্ত স্নিগ্ধ দ্বীপের মত ভাসমানা গ্রামগুলো। যতদূর চোখ যায় নীল জলরাশির ছোট ছোট ঢেউয়ের ভাঁজে ভেসে উঠে অর্ধ ডোবা সবুজ গাছ-গাছালি।
মাঝে মাঝে রাজ হাঁসের স্বাধীন ছুটে চলা পুলকিত করে হাওরে ঘুরতে আসা সৌন্দর্য প্রেমীদের। ছাতিরচরের অর্ধ-ডুবন্ত করচের বন এবং হাওরের ছোট বড় নৌকা দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য দেখে মনে হবে যেন এক একটি জীবন্ত ছবি।
কিশোরগঞ্জের বড় হাওরগুলো ইটনা, মিঠামইন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায়। হাওর বেষ্টিত এ জনপদে থৈ থৈ পানি থাকে পাঁচ থেকে ছয় মাস। পানি নেমে যাওয়ার পর সবুজ পালকে ভরে উঠে পুরো হাওর। সারা বছর হাওরের সৌন্দর্য অটুট থাকলেও মূলত বর্ষাকালই ভ্রমণ পিপাসুদের মূল আকর্ষণ।
কিশোরগঞ্জ শহর হতে সিএনজি বা অটোতে যেতে হয় চামড়া বন্দর। চামড়া বন্দর হতে নৌকায় অথবা স্পিডবোটে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম যাওয়া যায়। আমরা প্রথমে ইটনার দিকে আমাদের যাত্রা শুরু করি।
প্রায় এক ঘন্টা ১৫ মিনিট পর ইটনা পৌঁছাই। একটু বিশ্রাম নেওয়ার পর ইটনার কিছু ঐতিহাসিক স্থাপত্য দেখতে বেরিয়ে পড়ি। দুপুরের খাবারের পর আবার ইটনা থেকে বের হই মিঠামইন এবং অষ্টগ্রামের হাওর দেখার উদ্দেশে।
হাওরের মধ্য দিয়ে ইটনা, মিঠামইন এবং অষ্টগ্রাম দ্বীপের মত তিন উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে অলওয়েদার সড়ক। দু’পাশে বিস্তৃত নীল জলরাশির মাঝ দিয়ে এই রাস্তা পরিচয় করিয়ে দেয় হাওরের বিশালতার সঙ্গে। সূর্যের আলোতে ঝলমল করা জলরাশি দেখতে দেখতে পর্যটকদের মনে হবে এ যেন সমুদ্র সৈকত।
হাওরের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে বেরিয়ে পড়তে হবে রাতে। আমরাও রাতের হাওর উপভোগ করতে নৌকা ভাড়া করি। যখন নৌকা চলতে শুরু করেছে তখন চাঁদ পূর্ব দিকে হাওরের জলে সবে ভাসতে শুরু করেছে। পানির ছোট ছোট ঢেউয়ের নিচে দেখা যাচ্ছে চাঁদের প্রতিবিম্ব। দূরের নৌকা থেকে ভেসে আসছে গান।
নিস্তব্ধ হাওরে নৌকায় ঘুরতে ঘুরতে আমরা হঠাতই খেয়াল করি,  চাঁদ ততক্ষণে মধ্য আকাশে উঠে গেছে।
ভ্রমণের জন্য কিশোরগঞ্জের বেশ কিছু জায়গায় দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। এর মধ্যে নিকলী বেড়িবাঁধ, ছাতিরচরের অর্ধ-ডুবন্ত করচের বন, করিমগঞ্জের বালিখলা, মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে রাষ্ট্রপতি মো.  আবদুল হামিদের বাড়ি, ইটনা, মিঠামইন এবং অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়ক। এখানে আরো রয়েছে,  বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর স্মৃতি বিজড়িত মন্দির, দিল্লির আখড়া, ঈসা খাঁ’র দূর্গসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা।
হাওরগুলোতে থাকা খাওয়ার জন্য ভালো হোটেল, রেস্তোরাঁ না থাকলেও মোটামুটি মানের খাবার পাবেন। রাত যাপনের জন্য হাওরের তুলনায় কিশোরগঞ্জ শহরে ভালো মানের হোটেল পাওয়া যাবে। হাওরের পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে দুই-তিন দিন সময় রাখতে হবেহাতে। আর ভ্রমণে যে কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে সব সময় থাকতে হবে বাড়তি সর্তক।
কুমিল্লা শহর থেকে ঘুড়তে আসে মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্হাপনা পরিচালক সাব্বির আহমেদ,ভাইস চেয়ারম্যান চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ মোঃআবদুল আউয়াল সরকার,পরিচালক মোঃ মনির হোসেন, কৃষ্ণ দাস,মোঃতাজুল ইসলাম।
তারা জানান,কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর ইতিমধ্যে পর্যটকদের মন কেড়ে নিয়েছে। খোলা আকাশের নিচে নৌকার ছাদে বসে আমরা পেয়েছি অনেক আনন্দ।যতদূর চোখ যায় নীল জলরাশির ছোট ছোট ঢেউয়ের ভাঁজে ভেসে উঠে অর্ধ ডোভা সবুজ গাছ- গাছালি। অসাধারন অনুভূতি।সংবাদ প্রকাশঃ  ১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ