কুমিল্লা-৫আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত এড.হাসেম খান

সিটিভি নিউজ।।     সৌরভ মাহমুদ হারুন  ,ব্রাহ্মনপাড়া(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা-৫(বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়া) সংসদীয় আসন থেকে অবশেষে বিনা
প্রতিদ্বন্ধিতায় আ’লীগ প্রার্থী এড.আবুল হাসেম খান নির্বাচিত
হয়েছেন। এর আগে গত ২০ জুন বিকেলে একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পার্টির
প্রার্থী জসিম উদ্দিন নিজ সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে
এড.আবুল হাসেমের আর কোন প্রতিপক্ষ নাই। তাই এখন সময়ের অপেক্ষা।
গতকাল একমাত্র প্রার্থী এড.আবুল হাসেম খান দুপুর ১২ টায় নিজ আসনের
নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসানের সাথে সাক্ষাত
করতে যান। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসক জানান, ২৪ জুন
বৃহস্পতিবার প্রার্থীতা প্রতাহারের শেষদিনে যেহেতু একজন প্রার্র্থী
রয়েছে সেটা বৃহস্পতিবার বিকেলেই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিব।
এদিকে একমাত্র্র প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীতা প্রত্রাহারের ঘোষনায় এড.আবুল
হাসেম খান তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় দলের তৃণমুল পর্যায়ের নেতা-
কর্র্মীদের মূল্যায়ন,মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি প্রয়াত
এমপি,আ’লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য,সুপ্রীমকোর্ট বার আইনজীবি
সমিতির সভাপতি অ্যাড.আব্দুল মতিন খসরু’র এই আসনের অসমাপ্ত কাজ
সমাপ্তের অঙ্গীকার করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.আবুল হাসেম খান। জন্ম জেলার বুড়িচং উপজেলার
সীমান্তবর্তী রাজাপুর ইউনিয়নের প্রখ্যাত পীর আওলীয়ার পূণ্যভূমি
গিলাতলা(উত্তর) গ্রামে। ব্যক্তি জীবনে তিনি কখনো দলত্যাগী রাজনীতিতে
যুক্ত হননি। ১৯৬৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্যপদলাভের মাধ্যমে
আ’লীগের সাথে যুক্ত। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাননি। টানা ৫৫ বছর
বঙ্গবন্ধু’র হাতে গড়া মহান এই সংগঠনটির সুখে,দুখে নিজেকে জড়িয়ে
রেখেছেন। কখনো বক্তিস্বার্থে দলের ব্যবহার করেননি। একজন সাদামাটা কর্মীর মতো ভালোবেসে গেছেন আ’লীগকে। এড.আবুল হাসেম ছাত্রলীগের
রাজনীতিতে যুক্তের পর ১৯৬৯ সালে ছাত্রনেতা হিসেবে গণঅভ্যূথ্থান, ’৭০
সালে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে আগরতলা মামলা,বঙ্গবন্ধু’র হত্যা মামলা
পরিচালনাকারী প্রখ্যাত আইনজীবি প্রয়াত এড.সিরাজুল হকের পক্ষে
নির্বাচন ,’৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ। পরবর্তীতে
১৯৭২ সালে বুড়িচং রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি,’৭৩ সালে সংসদ
নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় অংশগ্রহন,’৭৬ সালে অবিভক্ত
বুড়িচং থানা ছাত্রলীগের সভাপতি,’৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ
প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় সক্রিয় অংশগ্রহন,’৮৩ সালে নির্বাচিত বুড়িচং
উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সমপাদক,’৮৬ ও ’৯৩ সালে দু’দফা সাধারন
সম্পাদক, ২০০৩ ও ২০২০ সালে দু’দফা সভাপতি, মাঝে ২০১৮ সালে বুড়িচং
উপজেলা আ’লীগের আহবায়কছাড়াও ১৯৮৬ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে
দায়িত্বপালন করছেল। তাছাড়া বিগত ১৯৮৬,’৯১,’৯৬,২০০৮ ও ২০১৮ সালে সংসদ
নির্বাচনে প্রয়াত এমপি আব্দুল মতিন খসরু’র জাতীয় নির্বাচন
পরিচালনা কমিটির কনভেনার এবং চীফ এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে নানা ঘাতপ্রতিঘাতেও আবুল হাসেম খান দলচ্যূত বা
সুবিধাভোগীদের দলে নিজেকে যুক্ত করেননি। শিক্ষা জীবন শেষে সালে আইন
পেশায় নিজেকে জড়িয়ে এই নেতা দলের দুর্দিনে হামলা-মামলার শিকার
অসংখ্য নেতা-কর্মীকে বিনামুল্যে আইনী সহায়তাছাড়াও নানাভাবে
আর্থিক সাহায্য সহযোগীতা করেছেন। সাদাসিদে জীবনযাপনকারী
আবুল হাসেম রাজনীতিবিদ হিসেবেও পরিচ্ছন্ন। বিগত সময়ে রাজনীতিতে
যুক্ত থেকে অনেক নেতা-কর্মীরা সম্পদের পাহাড় গড়লেও বিপুল সুযোগ থাকার
পরও আইন পেশার বাইরে অন্য কোন আয়ের উৎস নিয়ে তার ভাবনা ছিলনা।
এছাড়াও ক্ষমতা নিয়ে তার কোন মোহ ছিলনা। উল্লেখ্য চলতি বছরের গত ১৪
এপ্রিল কুমিল্লা-৫( বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়া) আসনটির সংসদ সদস্য
অ্যাড.আব্দুল মতিন খসরু’র মৃত্যুতে আসনটি শুন্য হয়ে যায়। পরবর্তীতে
কমপক্ষে ৩৬ জনের বেশী বিভিন্ন স্তরের নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে প্রয়াত
খসরু’র কবর জিয়ারত,সংবাদ সম্মেলন, বিলবোর্ড,ব্যানার,পোষ্টার
ছাপিয়ে,শত শত মোটরসাইকেল,গাড়ি নিয়ে মিছিলছাড়াও সর্বশেষ
মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরুর পর ৩৫ জনের মনোনয়নপত্র ক্রয় এসব কিছুতেই যখন
প্রার্থী পদে মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক নেতাদের নানারকম তৎপরতা,তখনো
এড.আবুল হাসেম খান ছিলেন নিরব। বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়ার প্রতিটি
জনপদে যখন ৩ ডজন প্রার্থী নানাভাবে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি
বা তার পক্ষে তখন কেউ কোথাও একটা পোষ্টার বা ব্যানার টানাতে দেখেননি।এছাড়া ঢাকায় মনোনয়ন পত্র ক্রয় বা জমা দেওয়ার সময় প্রতিটা   মনোনয়নক্রয়কারী গাড়িবহর নিয়ে ঢাকায় যাওয়া-আসা করলেও ব্যক্তিজীবনে
সৎ,নিরহঙ্কার,নির্মোহ এড.আবুল হাসেম খান মনোনয়নপত্র ক্রয় বা জমা
দেওয়ার সময় সাথে কোন দল বা অংবগসংগঠনের কাউকে পায়নি। এসময়
তিনি অনেকটা একা একাই মনোনয়নপত্র ক্রয় এবং জমা দেন। এদিকে হাশেম
খানের পছন্দের একাধিক সমর্থক জানান, মনোনয়ন পত্র ক্রয়ের আগে তিনি
একাধিকবার তাদের কাছে বলেছেন, “যদি আমি নেত্রী ( শেখ হাসিনা)’র
কাছে একবার যাওয়ার সুযোগ আসে,আর তিনি যদি একবার আমাকে
দেখেন,তবে আমার বিশ্বাস আমাকে বঞ্চিত করবেননা,আমাকে মুল্যায়ন
করবেন এবং আমিই মনোনয়ন পাবো”। পরবর্তীতে তার কথাই সত্য বলে
প্রমানিত হলো। দলের প্রতি তার যে অবিচল ভালোবাসা। দলকে যিনি টানা
সাড়ে ৫ দশক বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেত্রী তাকে মুল্যায়ন
করেছেন সর্বোচ্চভাবে। তিনি বলেন, আমি দলের তৃণমূল থেকে এপর্যায়ে
উঠে এসেছি। আমার কাছ থেকে কখনো নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত হবেনা
এছাড়াও তিনি বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়া আসনের প্রয়াত নেতা অ্যাড.আব্দুল
মতিন খসরু’র অসমাপ্ত কাজ সমাধানে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ক্যাপশনঃ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আ’লীগ প্রার্থী এড.আবুল হাশেম
খান জেল্ াপ্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করতে যান। এসময় তার সাথে অন্যান্যের
মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মনপাড়া আ’লীগ সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর খান
চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক এড.আব্দুল বারী,বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান
আখলাক হায়দার,এড.আব্দুল মমিন ফেরদৌস,অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ
,এড.রেজাউল করিম খোকন প্রমূখ।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৪২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ