কুমিল্লায় শীতে শিশু রোগী বাড়ছে, হাসপাতালে শয্যা সংকট অনেক 

সিটিভি নিউজ।।     নেকবর হোসেন   কুমিল্লা প্রতিনিধি  জানান ==
কুমিল্লার শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু ও নবজাতক রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল ও সদর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে এখন শিশু ও নবজাতক রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ভর্তি রোগীর প্রায় ১৫ শতাংশই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।
কুমেক হাসপাতালে সরেজমিন দেখা যায়, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি শিশু ও নবজাতক রোগী শয্যাসংখ্যার দ্বিগুণ। এখানে গত সাত দিনের ব্যবধানে প্রায় চার শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। যেখানে শিশু ও নবজাতক দুই ওয়ার্ডে শয্যাসংখ্যা মাত্র ৭৪টি। ভর্তি হওয়া এসব রোগীর মধ্যে গত সপ্তাহে পাঁচ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আরও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া শিশুর অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন।
হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের ইনচার্জ রোশনারা বেগম বলেন, ‘গত একমাসে এই ওয়ার্ডে নয় নবজাতক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে শীতে তাদের মৃত্যু হয়নি। নিউমোনিয়া, অপরিপক্ব ও কম ওজনের নবজাতক এবং জন্মের সময় মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেডিক্যাল কলেজের নবজাতক ওয়ার্ডে ইনকিউবেটরসহ শয্যাসংখ্যা ২৪, তবে গত বৃহস্পতিবার এই ওয়ার্ডে নবজাতক রোগী ভর্তি ছিল ৪০। নির্ধারিত বেডের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। একই অবস্থা শিশু ওয়ার্ডেও। ১২টি পেয়িংসহ শিশু ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা ৫০টি। এইদিন নবজাতক ওয়ার্ডের মতো শিশু ওয়ার্ডেও শিশু রোগী ভর্তি ছিল নির্ধারিত বেডের দ্বিগুণ।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নবজাতক রোগী নিয়ে আসা মো. রোবেল জানান, গত ৩ ডিসেম্বর নবজাতকটি জন্ম নেয়। সুস্থ হয়ে জন্ম নিলেও একদিন পরই বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয় সে। আজ আট-নয় দিন হাসপাতালে ইনকিউবেটরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে নবজাতকটিকে। চিকিৎসকরা বলছেন তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
বরুড়া থেকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসা এক শিশুর স্বজন মোহাম্মদ আলী জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের শিশু রোগীটি। দুই দিন ভর্তি ছিল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। শিশুটির সুস্থতার লক্ষণ না দেখে তারা কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।

রোগীর তুলনায় শয্যাসংখ্যা সংকটের বিষয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন জানান, নবজাতক ওয়ার্ডে ২৪ এবং শিশু ওয়ার্ডে ৫০টি শয্যা রয়েছে। শিশু ও নবজাতক রোগীদের জন্য এই ৭৪টি বেড পর্যাপ্ত নয়। করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতালের বড় একটি অংশে কোভিড-১৯ ওয়ার্ড ঘোষণা করায় হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে ইচ্ছা থাকলেও বেড বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনিতে ৫০০ বেডের এই হাসপাতালে প্রতিদিনই ৯শ থেকে এক হাজার রোগী ভর্তি থাকেন।সংবাদ প্রকাশঃ  ১৯১২২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ