মেয়েকে জমি দেওয়ায় মাকে নির্যাতন করে হাসপাতালে পাঠালেন ছেলে

 সিটিভি নিউজ।।     দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি নয়ন ॥ দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় মেয়েকে জমির অংশ দেওয়ায় ছেলের নির্যাতনে হাসপাতালে মা, ছেলের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাবা।

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের কিসমত লালপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ছেলের হাতে নির্যাতিত মা জহুরা বেগম ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

জহুরা বেগম বলেন, সম্প্রতি বাড়ির ভিটাসহ ১৫৯ শতক জমি তার তিন ছেলে ও এক মেয়ের নামে লিখে দিয়েছেন। মেয়ের নামে জমি লিখে দেওয়ায় সেইদিন থেকে তিন ছেলের মধ্যে একজন নবীউল ইসলাম বিভিন্ন সময় তাদের ওপর অত্যাচার করে আসছেন। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কয়েক দফা সালিশ করে দিয়েছেন।

কেন বারবার চেয়ারম্যানকে জানানো হয় সে কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার (২৯ জুন) বিকেলে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান নবীউল। বাধা দিতে গেলে বাবা তইজ উদ্দিন ও তাকে (জহুরা বেগম) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন । এই ঘটনা বুধবার রাতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হলে বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে নবীউল ইসলাম তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন।

ভুক্তভোগীর স্বামী তইজ উদ্দিন বলেন, তিনি বাড়িতে যেতে পারছেন না ছেলের ভয়ে। হাসপাতালেও ঠিকমতো থাকতে পারছেন না। আমাকে পেলেও আমার স্ত্রীর মতো মারপিট করবে। তাই ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব।

অভিযুক্ত ছেলে নবীউল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবা-মা যেহেতু তাদের মেয়েকে জমি দিয়েছে সেহেতু মেয়ের কাছে চলে যেতে হবে। এই বাড়িতে তাদের থাকার অধিকার নেই।

খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, কয়েক দফা বিচার করেও বিষয়টি সমাধান করা যায়নি। বিচার করার পরেও নবীউল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা বাড়িতে গিয়ে আবারো তাদের বাবা-মার ওপর অত্যাচার করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দীন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০২-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ