নাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৩০১ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো একটি প্রকল্পের অনুমোদন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : জাতীয় অর্থনীতি পরিষদ (একনেক) সভায় ৩০১ কোটি টাকার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
নাসিক জানান, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৫০ টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন প্রতিদিন প্রায় ২৯০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করতে পারে। বাকি ৬০ টন বর্জ্য শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ও খালের ওপর ডাম্পিং করা হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।
এজন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (এনসিসি) কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর তৈরি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩০১ কোটি টাকা। একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সালে বাস্তবায়ন করবে এনসিসি। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এনসিসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় পাড়ে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে এ নগরী পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসার জন্য প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। নারায়ণগঞ্জ দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্দরনগরী। শীতলক্ষ্যা নদী এ নগরীকে দুভাগে বিভক্ত করেছে। নগরীকে দুভাগে বিভক্ত করলেও শীতলক্ষ্যাই এ জেলাকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করেছে। গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান সময়ে এ নগরীর কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জন্য একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্পাঞ্চল হওয়ায় প্রতিদিন এখান থেকে প্রচুর পরিমাণে শিল্পবর্জ্য যেমন: পলিথিন, কাপড় এবং কাগজপত্র তৈরি হয়।
তারা আরও জানিয়েছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ, পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ, অপসারণ ও প্রক্রিয়াকরণ, সম্পদ পুনরুদ্ধার, দূষণ কমিয়ে পরিবেশের উন্নয়ন ও নগরীর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, ৬৯ দশমিক ৮৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, সীমান প্রাচীর, সড়ক ও মহাসড়ক, মোটরসাইকেল কেনা, পাঁচটি গারবেজ ট্রাক, একটি স্ক্যাভেটর, একটি ওয়েব্রিজ এবং ২০০টি প্রকৌশল ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনা।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকল্পের প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ২১ নভেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। ফলে একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ ও পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ, অপসারণ ও প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব হবে। যার মাধ্যমে দূষণ কমানোসহ নগরীর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এজন্য প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২০১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ