Sunday, November 24, 2024
spot_img
More

    বুড়িচং -ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রোপা-আমন।। দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

    সিটিভি নিউজ।। গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, বুড়িচং, কুমিল্লা।।================ গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় তলিয়ে গেছে প্রায় কয়েক হাজার একর আমন ধানের নীচু জমি। সম্প্রতি বুড়িচং উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর বুড়বুড়িয়া বাঁধ ভাঙার পর পুনরায় হঠাৎ করে বৃষ্টিতে কষ্টের রোপণ করা আমন ধানের জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন অনেক কৃষক। এছাড়া অব্যাহত বৃষ্টির কারণে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন কেটে খাওয়া ওই কৃষকেরা। এ বছর ভারতীয় পানির ঢলে বুড়বুড়িয়া বাঁধ ভেঙে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় আমনের বীজতলা,ঘরবাড়ি সহ অন্যান্য ফসল ডুবে গিয়েছিল। ফলে কৃষকের দ্বিগুণ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ৬ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার সরেজমিনে বুড়িচং উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বন্যার পানি কমে গেলে পুনরায় আমনের বীজতলা তৈরি করে এবং তাদের নিজ জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করে। কিন্তু এখন টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে আমন ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকেরা। দ্বিগুন টাকা খরচ হওয়ার পরেও জমিতে চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকের এখন মাথায় হাত। এছাড়া অনেক কৃষক অধিক দাম দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আমনের চারা ক্রয় করে রোপণ করেছিলেন ।কিন্তু এখন সব পানির নিচে চলে যাওয়ায় দ্বিগুণ ক্ষতির আশঙ্কায় দিন পাড় করছেন তারা। এ প্রতিনিধিকে কৃষকরা জানায়,বাঁধ ভেঙে বন্যার পানিতে ডুবে সব পঁচে যায়। এখন আবার ধান কিনে বীজতলা তৈরি করে জমিতে রোপন করেছিলেন। এখন বৃষ্টিতে সব তলিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না কমলে এবছর আমন ধানে দ্বিগুণ ক্ষতি হবে এসব এলাকার কৃষকদের। এদিকে বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতির বেড়িবাঁধের সেই ভাঙা অংশ দেখলে এখনো ভয়ে আঁতকে উঠছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন- দ্রুত বাঁধটি পুরোপুরি নির্মাণ করা না হলে

    (বৃষ্টির পানি ও ভারত থেকে ফের ঢল এলে যেকোনো সময় প্লাবিত হতে পারে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া)।

    উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর রোপা আমন মৌসুমে বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। ফলে এ বছর যথাসময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারেনি অনেক কৃষক। এর পর শুরু হয় আকস্মিক বন্যা যার ফলে বীজতলা পানিতে তলিয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। চলতি মৌসুমে আমনের বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬৬ হেক্টর, অর্জিত হয়েছিল ২০৫ হেক্টর।কিন্তু ভয়াবহ বন্যার কারণে অর্জিত বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় বলে জানায় কৃষি বিভাগ।এ উপজেলায় ৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার বন্যা ও অধিক বৃষ্টি হলে লক্ষমাত্রা অর্জনে শঙ্কা রয়েছে। সংবাদ প্রকাশঃ =০৬-১০-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments