Friday, November 22, 2024
spot_img
More

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৪০ দিন লড়াই করে হেরে গেছেন গুলিবিদ্ধ সাব্বির

    সিটিভি নিউজ।। বিল্লাল হোসেন, মুরাদনগর থেকে ঃ================
    টানা ৪০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে মারা গেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সাব্বির হোসেন (১৮)। শনিবার সকাল আনুমানিক ৯টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সাব্বির হোসেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে।
    শনিবার সাব্বির হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার মা রিনা বেগমের গগণ বিধারী কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে আকাশ বাতাস। তাকে শান্তনা দিতে এসে কান্না করছেন প্রতিবেশীরাও। রিনা বেগম গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে বলেন, আমার এতিম ছেলেডারে কেডায় গুলি করে মারল রে! আল্লা ও!, আমি এখন কারে নিয়ে বাঁচব, দুই বছর আগে তার বাপ মরল, এখন ছেলেডা মরল, আল্লায় কি আমার দিকে দয়া ধরল না রে, ৫ তারিখে পুতে আন্দোলনে গিয়া শেষ হইয়া গেল রে। আমার কিচ্ছু লাগব না, কেউ আমার সাব্বিররে ফিরাই আইন্না দাও।
    স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। ওইদিন বিকেলে মিছিল করতে দেবিদ্বার থানার দিকে যান মিছিলকারীরা। এ সময় পুলিশ থানার ছাদে উঠে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকলে ১৫-১৬ জন মিছিলকারী গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে সাব্বিরের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লাগে। অপর দিকে পুলিশ দাবি করছে, ওইদিন দেবিদ্বার নিউ মার্কেট গোলচত্বর এলাকায় মিছিল করা অবস্থায় ছাত্রলীগ-যুবলীগও মিছিলকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় সাব্বির। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তার মাথায় সিটিস্ক্যান করে মাথার ভেতরে গুলি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে অস্ত্রোপচার করে সাব্বিরের মাথার ভেতর থেকে গুলি বের করে আনা হয়। পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকে সাব্বির। কিছুদিন পর ঢাকা মেডিকেল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে নানা বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি ফিরে আসেন তার মা এবং সাব্বির। শনিবার সকালে হঠাৎ নিজের অস্বস্তি লাগছে বলে সে তার মাকে জানায়। পরে তাকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাব্বিরের তিন ভাই-বোনের মধ্যে সে সবার বড়। দুই বছর আগে তার বাবা স্টোক করে মারা যায়। এরপর সাব্বির সংসারের হাল ধরতে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অসহায় এ পরিবারটি সরকারের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করেন। সংবাদ প্রকাশঃ =১৫-৯-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments