সিটিভি নিউজ।। মোঃ অপু খান চৌধুরী।। সংবাদদাতা জানান =====
কুমিল্লার গোমতী নদীর ভাঙ্গনে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গতকাল ২৩ আগষ্ট পানিবন্দি লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানীয় কলেজ-স্কুল-মাদ্রাসাসহ উচু ভবনগুলোতে আশ্রয় নেয়।
২২ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) রাত সারে ১১ টায় বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুরবুরিয়া গ্রামে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ও অধিক বৃষ্টির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
নদী ভাঙ্গনে মূহর্তের মধ্যে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে অধিকাংশ বাড়িঘর রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে অনেক মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পরে। রাতে বাঁধ ভাঙ্গার কারণে মানুষ আশ্রয়নে যেতে পারেননি। অনেক মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরের চালায় ও ছাদে আশ্রয় নিয়েছে। সাধারণ কিছু লোকজন আত্মীয়-স্বজন, স্কুল কলেজের আশ্রয় নিলেও গবাদি পশুসহ মুল্যবান মালামাল রক্ষার চিন্তায় বেশীর ভাগ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাসা-বাড়িতে থেকে যায়। তারা গতকাল (শুক্রবার) বিভিন্ন স্থানীয় কলেজ-স্কুল-মাদ্রাসাসহ উচু ভবনগুলোতে আশ্রয় নেয়।
গতকাল বিকেলে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কমপক্ষে অর্ধ সহস্রাদিক লোক আশ্রয় নিয়েছে। এসময় তাদের বিভিন্ন বাহিনী ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট,শুকনো খাবার ও খিচুড়ী বিতরণ করতে দেখা গেছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই ভাঙ্গন কবলিত বুড়বুড়িয়াসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করলে তাদেও সাহায্যার্থে সহযোগীতার হাত বাড়ায় ফায়ার সার্ভিস,রেডক্রিসেন্ট,উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা উদ্ধার তৎপরতাসহ শুকনো খাবার, খিচুড়ি, চিকিৎসা সামগ্রী,পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট নিয়ে দুর্গতদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
এছাড়া কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের ভরাসার বাজার থেকে বুড়িচং বাজার পর্যন্ত ৩ থেকে ৪
ফুট পানিতে তলিয়ে গিয়ে যানবান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর,বুড়িচং সদর, ষোলনল, বাকশীমুল,রাজাপুর ইউনিয়নের প্রায় ৫০ টি গ্রাম এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের ৪/৫ টি গ্রাম গোমতী নদীর ভাঙ্গনের সাথে সাথে রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। এতে পুকুরের মাছ ও খামারিদের মুরগিসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী পানিতে ভেসে যায়।
অপর দিকে কুমিল্লার ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সীমান্তের মাঝে দিয়ে প্রবাহিত সালদানদী নদীটি ২৩ আগষ্ট সকালে বাগড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাগড়া, মানরা, নাগাইশ, বড়ধুশিয়া, চান্দলা,নাইঘর সহ উপজেলার সর্বত্র পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে ফলে এইসব এলাকার হাজার হাজার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পরেছে। এতে মানুষের মাধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার,পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ঔষধ বিতরণ করা হচ্ছে।ঝুকির মধ্যে থাকা সকল জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে (সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে) নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি সেচ্ছা সেবী সংঘঠন বন্যা কবলিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সংবাদ প্রকাশঃ =২৪-৮-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=