সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : ৬ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের মাধ্যমে সেই ৩ অপহরণকারীদের আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই। শুধু আটক না তাদের নিকট থেকে আজিজকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই অফিসের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। আটককৃতরা হলেন, লিপি আক্তার, রবিন ও সুমন।
মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ৪ আগস্ট বিকাল ৩ টার সময় ভুক্তভোগী মো. আব্দুল আজিজ (১৮) কাউকে কিছু না বলে। ঘরে থাকা কোরবানীর গরু বিক্রি করা বাবদ ৮৪ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখোঁজি করে না পাওয়া গেলে তার ভাই মো. মাছুম ১৯ আগস্ট সোনারগাঁও থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
পরবর্তীতে অপহরনকারীরা আজিজের মোবাইল ফোন দিয়ে জানায় যে, ভিকটিম তাদের নিকট জিম্মি আছে এবং অপহরনকারীরা বিভিন্ন সময় তার পরিবারের নিকট টাকা দাবী করে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী তার পরিবার বিভিন্ন সময় বিকাশের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা প্রেরন করে। সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টম্বর বিকাল ৫টার সময় ২ লক্ষ টাকা দিলে আজিজকে হত্যা করার হুমকি দেন।
তিনি আরও বলেন, তদন্তের পাশাপাশি বিজ্ঞান ভিত্তিক ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য একটি ছক তৈরী করা হয়। শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে এক মাস আগের অপহরনকৃত ভিকটিম মো. আব্দুল আজিজকে অপহরনকারী রবিন এর ঢাকা শহরের উত্তর বাভদ্রস্থ ১০৯৮, মিস্ত্রিতলার ভাড়া করা বাসা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সে সাথে ভিকটিমের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়।
এরপর তার দেওয়া তথ্য ও পিবিআইর প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবিনের সহযোগী সুমনকে ঢাকার আদর্শ নগর এলাকা থেকে আটক করা হয় । সে সময় তার নিকট থেকে বিকাশে লেনদেনকৃত মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়।
তাদের দুইজনের দেয়া তথ্য মতে, ঘটনার মূল হোতা লিপি আক্তারকে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মির্জাচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তারপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরনকারীগন ভিকটিমকে জিম্মি করে ভিকটিম থেকে নেওয়া নগদ ৮৪ হাজার টাকা ও গ্রহনকৃত ১৫ হাজার টাকার কথা স্বীকার করে।
পিবিআই’র অনুসন্ধানকালে আরও জানা যায়, মূল হোতা লিপি আক্তার ভিকটিম মো. আব্দুল আজিজ এর চাচাতো ভাই তাজুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। সে সূত্রেই ভিকটিমের সাথে লিপি আক্তারের পরিচয়। অপহরনকারী লিপি আক্তার ইতিপূর্বে মাদক মামলায় বাড্ডা থানার (মামলা নং- ২০(০১)১৯) গ্রেফতার হয়ে এক বছর হাজতবাস করেছে বলে জানা গেছে। আরও জানা যায়, তার স্বামীও উক্ত মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
এছাড়াও পিবিআইর অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, অপহরনকারী রবিনের স্ত্রী রিয়া বেগমও আলোচিত রেনু মার্ডার এর আসামী হিসেবে দীর্ঘদিন হাজতবাস করেন। আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ অপহরনকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিষয়ে আরও অনুসন্ধান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সংবাদ প্রকাশঃ ০৫–৯–২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24 এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)