বুড়িচংয়ে বীজ উদ্যোক্তার মাধ্যমে ছড়িয়েছে ব্রি ধান৮৫ 

সিটিভি নিউজ।।  সৌরভ মাহমুদ হারুন     নিজস্ব প্রতিবেদক ========
কুমিল্লা অঞ্চলের জলাবদ্ধতার সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করে আউশ মৌসুমের নতুন জাত
হিসাবে ব্রি ধান৮৫ সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস।
বিগত দুই বছর উপজেলার রামপুর পোষ্ট অফিস ও পীরযাত্রাপুর গ্রামের কৃষকরা প্রথমবারের
মতো ব্রি ধান৮৫ চাষ ও বীজ সংরক্ষণ করেছেন। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে এ বছর কৃষকদের
উৎপাদিত বীজ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে পুরো বুড়িচং উপজেলার কৃষকদের মাঝে। সরেজমিনে
ঘুরে দেখা যায়, রামপুর পোষ্ট অফিস এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম ব্রি ধান৮৫ এর বীজ সংক্ষণ
করেছেন, বাজারে চাহিদা থাকায় কংশনগর বাজারে ৬০-৬৫ টাকা কেজি প্রতি কেজি বীজ
বিক্রি করেন তিনি। তাছাড়া বীজের মান ভালো হওয়ায় বাড়ি থেকে আশেপাশের কৃষকরা বীজ
সংগ্রহ করেন।
কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বছর আগে প্রথম বীজ উৎপাদন প্রদর্শনী হিসাবে
জাতটি চাষ শুরু করি। উপসহকারি কৃষি অফিসার ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার স্যারেরা
আমাদের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ বিষয়ে শেখান। বীজের রং উজ্জ্বল ও দানা চিকন হওয়ায় গত বছর
বীজ বিক্রয় করে ভালো ব্যবসা করি। তাই গত বছর নিজ উদ্যোগেই পুনরায় জাতটি চাষ করে
বীজ সংরক্ষণ করে রেখেছি।
পীরযাত্রাপুর গ্রামের কৃষক আবু জাহের, মকবুল হোসেন, সিরাজ মিয়া ও মো. সিদ্দিক গত
বছর ব্রি ধান৮৫ এর বীজ সংরক্ষণ করেন। এ বছর উপজেলা কৃষি অফিস সহ বিভিন্ন গ্রামের
কৃষকদের কাছে সংরক্ষিত বীজ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। আবু জাতের জানান,
আমাদের মাঠে ব্রি ধান৪৮ এর চেয়ে ব্রি ধান৮৫ এর ফলন বেশি, রোগ বালাই কম হয়। ধানের রং
সুন্দর ও চিকন হওয়ায় বাজারে ভালো দাম ও পাওয়া যায়। এ বছর আবারো বীজ উৎপাদনের পরিকল্পনা
নিয়ে বীজতলা তৈরি করেছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, বীজ উৎপাদনের পর প্রথম বছরেই
বুড়িচং উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান৮৫ সম্প্রসারিত হয়। শুধুমাত্র রামপুর ব্লকেই ২০
হেক্টর জমিতে জাতটি চাষ হয়। নতুন জাত বিস্তারে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
কৃষকদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্রি ধান৪৮ এর পরিবর্তে অধিক ফলন সক্ষম নতুন বেশ
কয়েকটি জাত নিয়ে আমরা কাজ করছি। অদূর ভবিষ্যতে নতুন মেগা জাতের উত্থান হবে বলে
আশা করি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার বলেন, ব্রি ধান৮৫ জাতটির স্বল্প জীবনকাল,
ধানের চিকন গড়ন ও সুন্দর রং এর কারণে কৃষকরা বেশ পছন্দ করছেন। তাছাড়া জাতটি
জলাবদ্ধতা সহনশীল। বুড়িচংয়ের মাঠে জাতটি সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখছি।
ছবি: বীজ উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম তার সংরক্ষিত বীজ দেখাচ্ছেন।সংবাদ প্রকাশঃ  ০৪-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ