নাঙ্গলকোটে খাল দখল করে রাস্তা নির্মাণ, জলাবদ্ধতায় ১৫হাজার পরিবারের ফসলি জমি ও বাড়িঘর নষ্ট হওয়ার আশংকা

সিটিভি নিউজ।। মজিবুর রহমান মোল্লা স্টাফ রিপোর্টার, নাঙ্গলকোট=================
নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নের সিজিয়ারা গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি নিজের দখলীয় জমি থেকে মাটি কেটে জমির গর্ত ভরাট করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন অবৈধভাবে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি স্থানীয় ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান শাহআলম জসিম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খাল দখল করে রাস্তা নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর জমি অনাবাদিসহ পানি নিষ্কাশন বন্ধ হওয়ায় প্রায় ১৫হাজার মানুষকে বর্ষাকালে পানিবন্দি অবস্থায় থেকে ফসলি জমি ও বাড়ীঘর নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের সিজিয়ারা গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমান গত ২১ ডিসেম্বর চিয়ড়া মৌজায় তার দখলীয় জমির আইল থেকে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে জমির বিভিন্নস্থানের গর্ত ভরাট করছিলেন। এ সময় পাশের চান্দলা গ্রামের তানু মিয়ার ছেলে লিটন, এন্তু মিয়ার ছেলে সোহেল, গণি মিয়া এবং সিজিয়ারা গ্রামের আনু মিয়া ও তার ছেলে জাকের মোস্তাফিজুর রহমানের শ্রমিকদের মাটি কাটতে অবৈধভাবে বাধা প্রদান করেন। এছাড়া লিটন মাটির ব্যবসা করতে গিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে মোস্তফিজুর রহমানের জমিরও ক্ষতি সাধন করছে। এর আগে ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান শাহআলম জসিম মেম্বার ২-১টি পরিবারের সুবিধার্থে রাতের আঁধারে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক মোস্তাফিজুর রহমানের জমির মাটি কেটে গর্ত করে সরকারি খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেন। অথচ খালের ওপর নির্মিত রাস্তাটির সামনে আর কোন রাস্তা নেই। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান শাহআলম জসিম মূল সড়ক থেকে অবৈধভাবে সরকারি খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে করে চিয়ড়া, গো-পদুয়া, সিজিয়ারা এবং পোষাই গ্রামের ১৫হাজার মানুষের বর্ষাকালে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বর্ষাকালে ১৫হাজার মানুষের জমি এবং বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে তাদেরকে পানিবন্দি অবস্থায় থাকতে হচ্ছে । এছাড়া তাদের কৃষি জমি অনাবাদিসহ মাছ চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া জানান, সরকারি ৮শতক খাস জমি ছিল। এই খাস জমিতে খাল ছিল। এটাকে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান শাহআলম জসিম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে আমার জমি থেকে মাটি কেটে দু‘পাশে রাস্তা করেন। যার ফলে আমার জমি মাথার উপর গর্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে শ্রমিক দিয়ে আমার জমি থেকে মাটি কেটে গর্তগুলো ভরাট করতে গেলে আমার প্রতিপক্ষ অবৈধভাবে বাধা প্রদান করে আমার শ্রমিকদের জমি থেকে উঠিয়ে দেয়। আমি জমিটি ভরাট করে আবাদি করার চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা দিচ্ছে না। তারা জোরপূর্বক আমার জমিটি দখল করার চেষ্টা করছে। খালটি উদ্ধার করে এলাকাবাসীর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
চিয়ড়া গ্রামের মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি- এখানে একটি খাল ছিল। রাস্তা ছিল না। খাল দিয়ে এলাকাবাসীর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল। এখানে রাস্তা করায় আমার জমিও ৩ফুট রাস্তার মধ্যে রয়েছে। রস্তা করায় পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। আমার জমির আইল কাটতে গেলেও তারা বাধা সৃষ্টি করে। রাস্তা করাতে মোস্তাফিজুর রহমান সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সিজিয়ারা গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, এখানে একটি নালা ছিল। নালাটি ভরাট করে রাস্তা করা হয়েছে। এখানে কোন রাস্তা ছিল না। নালা দিয়ে চার গ্রামের পানি প্রবাহিত হতো। রাস্তা করায় খালের পানি কোথায় যাবে? এটার কোন ব্যবস্থা নেই। মোস্তাফিজুর রহমানের জমির মাঝখানে রাস্তা করা হয়েছে। এ চার গ্রামের পানি কোথায় যাবে সরকারিভাবে এটার একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।
ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহআলম জসিম সিজিয়ারা মূল সড়ক থেকে পূর্বদিকে ব্রিটিশ আমল থেকে একটি নালা থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, নালাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হলেও এখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সংবাদ প্রকাশঃ ২৮-১২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন