জুলাই যোদ্ধা ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর বাড়িতে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি করে হয়রানী

সিটিভি নিউজ।। কুমিল্লা-৫ আসনের জুলাই যোদ্ধা নাগরিক ঐক্যের প্রার্থীর বাড়িতে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে যৌথবাহিনীর তল্লাশি, না পেয়ে ফিরে যায় দল।
কুমিল্লা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে আসা ও জুলাই যোদ্ধা ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাসায় যৌথবাহিনী তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। গতকাল ২৩ ডিসেম্বর রাত সোয়া ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক গাড়ি নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে যৌথবাহিনী তার বাসায় পৌঁছালেও ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীকে সেখানে পাওয়া যায়নি। পরে তারা ফিরে যায়। এ সময় বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল বারেক ঘুমিয়ে থাকায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা বাসার উত্তর পাশের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ দিয়ে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। তাকে ডেকে তুলে বাড়ির বাউন্ডারি গেট খুলিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীকে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়।
এর আগের দিন ২২ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল ফুটবল ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। ওই যাত্রাপথে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতিনিধির মাধ্যমে তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সমমনা দল, গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন।
ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী ২০২৪ সালের জুলাই মাসের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন। ২০২৪ সালেত ১৮ জুলাই ঢাকায় শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘোষণার পর তিনি প্রথম নিজের বাসায় ছাত্রদের আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান। বিষয়টি সে সময় বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়।
পরবর্তীতে ১ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও টাইমস স্কয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেন। ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একই ফ্লাইটে তিনি বাংলাদেশে ফেরেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা এবং মনোনয়নপত্র ক্রয়ের পর একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাকে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ২০১২ ও ২০১৩ সালে আইনজীবীদের ইফতার মাহফিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তোলা দুটি ছবিকে কেন্দ্র করে তাকে আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ভিন্ন দল বা মতের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে অনেকেরই ছবি রয়েছে, যাদের অনেকেই এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছে। এই ছবি রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রমাণ হতে পারে না।
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাকে সমর্থন জানায়। তবে স্থানীয় এক স্বতন্ত্র এমপির সহায়তায় কারচুপির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে ২৩ জুন ২০২৪ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাচনে সমর্থনের জন্য দলটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন। তিনি জানান, তিনি কখনো আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না, তবে মহাজোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
একজন জুলাই যোদ্ধা ও মামলাবিহীন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাসায় গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে তল্লাশি চালানোর ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এ ধরনের ঘটনায় তিনি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আওয়ামী লীগ আমলের মত এভাবে ভয় ভীতির সংস্কার চালু করলে কেউ ছোট দলের বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে আগ্রহী হবে না। সংবাদ প্রকাশঃ ২৪-১২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন