চৌদ্দগ্রামের ভারত সীমান্তে সক্রিয় ফাহাদ সিন্ডিকেট, অভিযোগের পর ভুক্তভোগীর মোবাইল ফেরত

সিটিভি নিউজ।। মনোয়ার হোসেন: সংবাদদাতা জানান =====
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নোয়াপুর-শ্রীপুর ভারত সীমান্তে সক্রিয় ফারহাদ ওরফে ফাহাদ খান(২৬) সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি, শাড়ি ও মোবাইল সেট দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই চলে তাঁর এ অবৈধ কার্যক্রম। সম্প্রতি মহসিন মিয়া নামে এক ব্যক্তি তার মোবাইল সেট ও সাড়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফাহাদ খানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। উভয়ে কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত তিন মাস পূর্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে মহসিন মিয়া একই গ্রামের ফাহাদ খান থেকে দুই লাখ টাকা হাওলাত নেয় এবং এক বছর পর পরিশোধ করবে জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ নভেম্বর মহসিন মোটর সাইকেল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে আত্মীয় স্বজন থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা হাওলাত নেয়। ফাহাদ খান লোক মারফতে জানতে পারেন, মোটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য মহসিন সাড়ে চার লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। পরবর্তীতে একই দিন সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য কুমিল্লায় যাওয়ার জন্য কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া পেট্রোল পাম্পের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। ওই সময় ফাহাদ খান মহসিন মিয়ার পথরোধ করে হাতাহাতি ও জবরদস্তির মাধ্যমে টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় মহসিন চিৎকার করলে ফাহাদ খান দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায়, নোয়াপুর-শ্রীপুর সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র। এই সিন্ডিকেট ভারতীয় অবৈধ পণ্য পাচার ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। সিন্ডিকেটের প্রধান ফাহাদ খান এর আগে অবৈধ পণ্য পাচারের মামলায় কারাভোগ করলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও আগের চেয়ে শক্তিশালীভাবে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের নিকট জোরদাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকার প্রবীণদের ভাষ্য, যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখনই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি। না হলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
এদিকে অভিযোগকারী মহসিন মিয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিজিৎ দাশ থেকে মোবাইল সেট ফেরত পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। সোমবার বিকেলে অভিযোগের বিষয়ে ফাহাদ খান বলেন, মহসিনের সাথে কোন কিছু ছিনতাই ঘটনা ঘটেনি। সে প্রমাণ করতে পারলে আমি উল্টো জরিমানা দিবো। এছাড়া অন্যান্য সকল অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক অভিজিৎ দাশ সন্ধ্যায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সেখানে ছিনতাইয়ের কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগকারী মহসিন দীর্ঘদিন ফাহাদের পাওনা টাকা না দেওয়ায় মোবাইল নিয়ে যায়। সেটি আমার মাধ্যমে ফেরত দিলে মহসিনকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পাওনা টাকার বিষয়টি উভয়ে বসে সমাধান করার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে পরে আর কিছুই জানায়নি’। সংবাদ প্রকাশঃ ১৫-১২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন