সিটিভি নিউজ।। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।। ‘মানব পাচার একটি সংঘবদ্ধ জঘন্যতম এবং আইনত দÐনীয় অপরাধ এবং এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা ও সামাজিক ব্যাধী। বিশ্বে প্রতি বছর হাজার হাজার সাধারন মানুষ বিশেষত: নারী, শিশু এবং পুরুষ মানব পাচারের শিকার হয়। বাংলাদেশও এই বৈশ্বিক সমস্যা থেকে মুক্ত নয়। যদিওবা বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার অনেক আগে থেকেও এই অঞ্চলে মানব পাচার সংগঠিত হয়ে আসছিল। আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন কারণে ২০০০ সালের পর থেকে এটি এই অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বর্তমানে বিভিন্ন বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও কক্সবাজার অঞ্চলে মানব পাচারের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানব পাচার প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহন করলে এই বৈশ্বিক সমস্যা সমাধান করা অনেকাংশে সম্ভব।’ – বলেন কর্মশালার প্রধান অতিথি ও উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা।
আজ ৩ জুলাই ২০২৪, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মানব পাচার ও বাল্যবিবাহের শিকার ব্যক্তিদের সমন্বিত সেবা নিশ্চিতকরণে ‘জেলা রেফারেল ডিরেক্টরি প্রণয়ন’ বিষয়ক কর্মশালা’য় দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি’র আর্থিক ও উইনরক ইন্টারন্যাশনাল’র কারিগরি সহযোগিতায় ইপসা কর্তৃক বাস্তবায়িত ইউএসএআইডি’স ফাইট ¯েøভারী অ্যান্ড ট্রাফিকিং-ইন-পারসনস (এফএসটিআইপি) অ্যাকটিভিটি প্রকল্পের আওতায় ডিস্ট্রিক্ট ডিরেক্টরী রিভিউ ওয়ার্কশপে বক্তাগণ উপরোক্ত মতামত প্রদান করেন।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাহেনুল ইসলাম, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জেড. এম. মিজানুর রহমান খান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: সামসুজ্জামান, উইনরক ইন্টারন্যালের বিভাগীয় সিনিয়র সমন্বয়কারী শাহ আলম। উক্ত সভার সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কুমিল্লা জনাব পঙ্কজ বড়–য়া। ইপসা’র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রম এবং ডিস্ট্রিক্ট ডিরেক্টরী বিষয়ে উপস্থাপনা করেন ইপসা এফএসটিআইপি প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার হোসনে আরা রেখা এবং ইপসা এফএসটিআইপি প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার (লাইভলিহুড) সঞ্জয় চৌধুরী।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, ভৌগলিক এবং আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারণে বাংলাদেশ বহু আগে থেকেই মানব পাচারের উৎসভূমি এবং ট্রানজিট হিসেবে মানব পাচারকারীদের কাছে কৌশলিক ও নিরাপদ স্থান। ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ পাশ্ববর্তী দুইটি দেশ- ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্তবর্তী দেশ। একটি উম্মুক্ত বৃহৎ জলসীমা তথা বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তকে অনেক বেশী বিস্তৃত করেছে। এই স্থল এবং জল সীমান্তকে ব্যবহার করে মানব পাচারকারীরা আন্তর্জাতিকভাবে একটা নেটওর্য়াকের আওতায় থেকে তাদের এই অপরাধ কার্যক্রমটি চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ২৬টি জেলায় ইউএসএআইডি’স ফাইট ¯েøভারী অ্যান্ড ট্রাফিকিং-ইন-পারসনস্ (এফএসটিআইপি) অ্যাকটিভিটি মানব পাচার প্রতিরোধে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং কক্সবাজার এর মধ্যে অন্যমত জেলা। ২০১৪ সালের ট্রাফিকিং ইন পারসন (টিআইপি) রির্পোট অনুযায়ী বাংলাদেশ নারী, শিশু এবং পুরুষ বিশেষ করে শ্রম পাচারের একটি উৎস এবং রুট কান্ট্রি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তন্মেধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং কক্সবাজার জেলা অন্যতম। কারণ এই জেলাগুলো উপকূলীয় এবং সীমান্তবর্তী জেলা। এখানকার আর্থ-সামাজিক ও ভৌগলিক কারণে অত্র এলাকার সাধারণ জনগণ বিশেষ করে হত-দরিদ্র ও বেকার যুব সমাজ মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে আর্থিক ও সামাজিকভাবে শোষণের শিকার হচ্ছে।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য এবং সভাপতি সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ ওমর ফারুখ তাপস, প্রতিনিধি দৈনিক ইনকিলাব সাদিক মামুন, সম্পাদক দৈনিক কুমিল্লার আলো জসিম উদ্দিন কনক, ষ্টাফ রিপোর্টার দৈনিক রূপসী বাংলা মনির হোসেন এবং মানব পাচার প্রতিরোধে কুমিল্লায় কর্মরত বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং সিভিল সোসাইটি প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সংবাদ প্রকাশঃ ০৩-৭-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=