ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো দুই দিন ব্যাপী বেঙ্গল ডেল্টা কনফারেন্স ২০২৫

সিটিভি নিউজ।। মোহাম্মদ মাসুদ মজুমদার:সংবাদদাতা জানান=== আজ ৩০ আগস্ট, শনিবার শেষ হয়েছে দুই দিন ব্যাপী ‘বেঙ্গল ডেল্টা কনফারেন্স ২০২৫’ এর দ্বিতীয় দিন। ঢাকাভিত্তিক থিংক ট্যাংক ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ‌্যান্ড অ‌্যানালিটিক্স (দায়রা)-এর উদ‌্যোগে আয়োজিত কনফারেন্সের এ আসরের প্রতিপাদ‌্য ছিল ‘বাংলাদেশ অ্যাট ক্রস রোডস: রিথিংকিং পলিটিক্স, ইকোনমিক্স, জিওপলিটিকাল স্ট্র্যাটেজি’।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে গুম ও খুনের স্বীকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন “পেপার প্রেজেন্টেশন সেশন্স” শুরু হয়। এই সেশনে গবেষকগণ তাদের গবেষণাপত্র উপস্থান করেন।
সকাল ১০ঃ৩০ এ “হিস্টোরি, মেমরি, এন্ড পলিটিক্স ইন সাউথ এশিয়াঃ আ জার্নি ফ্রম পার্টিশন টু দ্য এইজ অব অ্যাঙ্গার” শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়। এই সেশনে কী-নোট বক্তব্য রাখেন আরিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন সাইকিয়া। তিনি বলেন, “পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষের কাছে ১৯৪৭ সালের ঘটনাটি দেশভাগ হিসেবে নয় বরং ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি হিসেবে হাজির হয়েছিলো”। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস, লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. মারয়াম ওয়াসিফ খান, এবং জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সৌম্যবর্ত চৌধুরী। এই সেশনটি সঞ্চালনা করেন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাভিদা খান।
বেলা ১২.২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় ‘রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্রাইসিস: রিজিওনাল সিকিউরিটি রিস্কস, রিপ্যাট্রিয়েশন পাথওয়েজ, এণ্ড লাইভলিহুড চ্যালেঞ্জেস’ শিরোনামে প্যানেল ডিসকাশন। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, দ্য সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. ইমাদুল ইসলাম, আরিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ফাহিম হোসাইন, সেন্টার ফর বে অব বেঙ্গল স্টাডিজের উপদেষ্টা, রাষ্ট্রদূত (অবসরপ্রাপ্ত) তারিক আ করিম, রিফিউজি রিলিফ এণ্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনার (আরআরআরসি)-এর কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। শামা ওবায়েদ বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যু কেবল কূটনীতির বিষয় নয়, রাজনীতির বিষয় এটি”।
দুপুর ১২ টায় আয়োজিত ‘মডার্নিটি এন্ড রিলিজিয়ন: ইন্টারেকশনস এন্ড কনটেস্টেশন্স’ শিরোনামের বিশেষ সেশনটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাফি মোঃ মোস্তফা। এই সেশনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও অধ্যাপক ড. মাজলি বিন মালিক, ইবনে খালদুন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ইরফান আহমেদ, আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন সাইকিয়া, লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের সহযোগী অধ্যাপক ড. মারিয়াম ওয়াসিফ খান, কিয়ুং হি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এলেক্স তায়েক-গোয়াং লি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ নিজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোস্তফা মনজুর এবং মানবাধিকারকর্মী মোস্তাইন জহির। ড. ইরফান আহমেদ বলেন, “আধুনিকতা ও রিলিজিয়ন দুটি নিপীড়নী শব্দবন্ধ, আধুনিকতার ধারণা খ্রীস্টবাদের মধ্যেই নিহিত আছে। আমাদেরকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে স্বাধীন হতে হবে। এই টার্মগুলোর যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।”
দুপুর ২ঃ২০ এ অনুষ্ঠিত হয় “অথরিটারিয়ানিজম, এট্রসিটি, এন্ড অ্যাকাউন্টেবিলিঃ হিউম্যান রাইটস এবিউজেস এন্ড ট্রান্সজিশনাল জাস্টিস ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশন। এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘ বাংলাদেশের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর কার্যালয়ের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা হুমা খান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চীফ প্রসেকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মানবাধিকার আইনজীবি ও টেক গ্লোবাল ইন্সটিটিউটের সিনিয়র ফেলো তাকবির হুদা, জাতিসংঘের ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এন্ড অপিনিয়ন এর বিশেষ প্রতিবেদক ইরিন খান।
“নিউ পলিটিক্যাল ডায়ালগ: ট্রান্সফরমেশন ইন সাউথ এশিয়ান পলিটিক্স” শিরোনামে আয়োজিত দ্বিতীয় স্পেশাল সেশন শুরু হয় দুপুর ২ টায়। সেশনটি পরিচালনা করেন ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক জাফর সোবহান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গভর্নেন্স, ইন্সটিটিউশনাল রিফর্ম এন্ড ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনস বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর এর রিসার্চ ফেলো, ড. রাজনি গ্যামেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. তায়াবুর রহমান, মুরাগালা সেন্টার ফর প্রগ্রেসিভ পলিটিক্স এন্ড পলিসির গবেষক ও বিশ্লেষক হরিন্দ্র বি. দশনায়ক, ব্র‍্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্নেন্স এবন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এর উপদেষ্টা ড. মির্জা এম. হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের প্রভাষক অলিউর রহমান সান এবং ইউথ অপরচুনিটিজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন নুর।
বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত হয় “ক্রস কান্ট্রি এক্সপেরিয়েন্সঃ আপরাইজিং এন্ড দ্য আফটারম্যাথ” শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশন। এই সেশনটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আসিফ সাহান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র‍্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এর উপদেষ্টা ড. মির্জা এম. হাসান, কিয়ুং হি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এলেক্স তায়েক-গোয়াং লি, নেপালের সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী দীপক গ‌্যাওয়ালি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালানিয়া – কলম্বোর অধ্যাপক ডক্টর প্রভা মনুরত্নী, এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর এর রিসার্চ ফেলো, ড. রাজনি গ্যামেজ।
বিকাল ৫:৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় প্যানেল ডিসকাশন ‘ফ্রম কনফ্লুয়েন্স টু কোহেশন: বাংলাদেশ’স রুল ইন রিজিওনাল ফরমেশন এক্রস এশিয়া’। এই সেশনে কী-নোট বক্তব্য দেন এশিয়া প্যাসিফিক ফাউণ্ডেশন এর সিনিয়র ফেলো মাইকেল কুগেলম্যান। আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন, তুর্কিশ ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মেহমেত ওঁজকান, সাংহাই ইন্সটিটিউটস ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এর পরিচালক ড. নিউ হাইবিন, ও.পি. জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শ্রীরাধা দত্ত। সেশনটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর অধ্যাপক ড. শাহাব ইনাম খান।
এছাড়াও “দ্য ইসলামোফোবিয়া বিফোর এন্ড আফটার ৯/১১ঃ ইমপ্লিকেশন ইন সাউথ এশিয়ান গভর্নমেন্টালিটি”, “তুর্কি’স এশিয়া পলিসি ইন পোস্ট ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড”, “স্ট্রাটেজিক পার্টনারশীপ এন্ড গ্লোবাল গভর্নেন্সঃ হাউ বাংলাদেশ ক্যান কোলাবরেট উইদ চাইনিজ স্ট্রাটেজিক পলিসিজ”, “হাউ ক্যান বিজনেস ড্রাইভ ইনক্লুসিভ গ্রোথ ইন দ্য নিউ বাংলাদেশ”, ও “রিথিংকিং আওয়ার ফিউচার ইন দ্য এইজ অব এ আই”, শীর্ষক পাঁচটি একক বক্তৃতার আয়োজন হয়। এই বক্তৃতাসমূহে প্রদান করেন যথাক্রমে ইবনে খালদুন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ইরফান আহমেদ, তুর্কিশ ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মেহমেত ওঁজকান, সাংহাই ইন্সটিটিউটস ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এর পরিচালক ড. নিউ হাইবিন, ক্যাডমাস গ্রুপ এর পরিচালক ও দ্য বাংলাদেশ প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা শামারুখ মহিউদ্দিন, ও আরিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ফাহিম হুসাইন।
ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স (দায়রা) একটি থিংক ট‌্যাঙ্ক, যা বঙ্গীয় বদ্বীপে জ্ঞানের উৎপাদন ও অগ্রগতি নিয়ে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির গতিশীলতাকে বোঝাপড়া চর্চায় নিবেদিত। সংবাদ প্রকাশঃ ৩০-০৮-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন