জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিঃসঙ্গ ব্যারিস্টার রফিক

সিটিভি নিউজ।। বিল্লাল হোসেন, মুরাদনগর সংবাদদাতা জানান ====
এক সময় যার ক্ষণিক পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠত রাজপথ, যিনি ছিলেন দেশের রাজনীতিতে এক প্রভাবশালী নাম সেই ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া আজ জীবনের শেষ দিনগুলো পার করছেন নিঃশব্দ, নিথর ও একাকী। সাবেক এই মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাসভবনে রোগাক্রান্ত অবস্থায় শয্যাশায়ী। শুধু তাই নয়, জীবনের এই চরম সময়ে তাকে ছেড়ে চলে গেছেন তার প্রিয়তমা স্ত্রীও, যিনি ছিলেন তার সবচেয়ে বড় অবলম্বন।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ১৯৯৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে দলের ভেতরে এবং বাইরে এক বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার সেই সোনালী অধ্যায় আজ এক করুণ বাস্তবতার মুখোমুখি। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। মেরুদ-ের জটিল সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ধীরে ধীরে জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের জীবনকে আরও নিঃসঙ্গ করে তুলেছে তার প্রিয়তমা স্ত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহিদা রফিক-এর মৃত্যু। চলতি বছরের ২ মার্চ তিনি ইন্তেকাল করেন। স্ত্রীর চলে যাওয়া ব্যারিস্টার রফিকের জীবনে এক গভীর শূন্যতা তৈরি করেছে। যিনি এতদিন তার সবচেয়ে কাছের সঙ্গী ছিলেন, তিনিই আজ আর পাশে নেই। এই একাকীত্ব একজন মানুষের জন্য, বিশেষ করে যিনি সারা জীবন মানুষের ভিড়ে কাটিয়েছেন, তা এক অবর্ণনীয় বেদনা।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার বর্তমান অবস্থা কেবল তার ব্যক্তিগত জীবনের ট্র্যাজেডি নয় বরং এটি আমাদের সবার জন্য এক গভীর বার্তা বহন করে। এই ছবিটি প্রমাণ করে যে, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একজন মানুষ কেবল তার কর্ম, মানবিক সম্পর্ক এবং ভালোবাসা নিয়ে পড়ে থাকে। এই করুণ চিত্রটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে বিনয়ী হওয়া কতটা জরুরি। জীবনের আসল সার্থকতা পদে বা প্রতিপত্তিতে নয় বরং মানুষের হৃদয়ে কতটা ভালোবাসা ও সম্মান রেখে যাওয়া যায় তার উপরই নির্ভর করে।
বর্তমানে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা তার দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তার এই নিঃসঙ্গ ও বেদনাপূর্ণ জীবন, রাজনীতি থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য এক জীবন্ত শিক্ষা। সংবাদ প্রকাশঃ ২৬-০৮-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন