মুরাদনগরে শিশুকন্যা হত্যার দায়ে মা কারাগারে ক্স ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।    ফয়জুল ইসলাম ফয়সাল, মুরাদনগর  সংবাদদাতা জানান ===
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের বহুল আলোচিত ১৯ দিনের শিশু রাবেয়া বসরী হত্যার রহস্য অবশেষে উন্মোচন হয়েছে। শিশু কন্যা হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম রোকেয়া আক্তারের আদালতে ওই স্বীকারোক্তি জবানবন্ধী দেন ঘাতক মা রহিমা আক্তার রত্মা (২০)। ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে নিহত শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়ার সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, বড় ছেলে মুজিবুর রহমান ও মেঝ ছেলে সজিবুর রহমান প্রবাসে থাকেন। বড় ছেলে ঠিকমতো বেতন পান না। মেঝ ছেলে সড়ক দূর্ঘটনায় দুুুুুুুই পা হারিয়ে বিদেশের হাসপাতালে আছে। অস্বচ্ছল সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরাতে আমি এখনো মাঠে কাজ করি। অন্য দিনের মতো গত বৃহস্পতিবারে জমিতে কাছ করতে যাই। বাড়িতে এসে শুনি ১৯ দিনের নাতনি রাবেয়া বসরীকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে থানায় গিয়েও সাধারণ ডাইরী করা হয়েছিল। পরদিন শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে খালের পানিতে আমার নাতনির লাশ ভেসে ওঠে। এ খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে আসেন এবং লাশের সাথে আমাদের সকলকে থানায় নিয়ে যায়। সকলের সাথে এ বিষয়ে আলাপ শেষে আমাদেরকে ছেড়ে দিলেও আমার পুত্রবধু রহিমা আক্তার রত্মার লড়চর কথায় তাকে থানায় রেখে দেয় পুলিশ। শনিবার সকালে শুনতে পারলাম, সে নাকি স্বীকার করেছে যে, সে নিজেই আমার নাতনিকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। তবে, গত এক সপ্তাহ যাবত রত্মা একা একা বসে থাকতো। আমাদের সাথে তেমন বেশী কথা বলতো না। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলেও কোন উত্তর দিত না।
মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবারেই শিশুটি না পাওয়ার ঘটনায় তাৎক্ষনিক তার বাড়িতে যাই। শুরুতেই শিশুটির মা রত্মা একেক সময় একেক কথা বলছেন। তার মানুষিক অস্থীরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে সে স্বীকার করেছে, নানান টেনশনে পড়ে জিদ করে কন্যাকে পানিতে ফেলে দিয়েছে। যা আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে বলেছেন সে। এ ঘটনায় শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়া মামলার বাদী হয়েছেন। শিশুটির ময়না তদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৪২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email