সিটিভি নিউজ।। মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে নব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধা মায়ের জায়গাঁ ঘরে না মিললেও মিলেছে গরু-ছাগলের অন্ধকার কুঠরীতে। এই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে সাপাহার উপজেলার নিশ্চিতপুর গ্রামের মৃত সোলাইমানের ৯০ বছর বয়সী স্ত্রী কদবানু বেওয়ার কপালে। অভিযোগের সূত্রে প্রকাশ নিশ্চিন্তপুর গ্রামের পাষন্ড ছেলে ফজলুর রহমান এই বৃদ্ধ মাকে ৫বছর ধরে গোয়াল ঘরে রেছেছেন। শুধু তাই নয় বৃদ্ধা মাকে দু বেলা দুমুঠো খেতেও দেয়না পাষন্ড ছেলে ফজলুর রহমান। এই বয়সে ভিক্ষাবৃতি মিঠাতে হয় পেটের ক্ষুধা। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন এই মা। তার ছেলে ফজলুর রহমান স্বচ্ছল ব্যক্তি হলেও নিজের গর্ভধারিনী মাকে দিচ্ছেন না খাওয়া-পরা। শুধু কি তাই! তার নিজের বাড়ীর ঘরেও ঠাঁই হয়নি এই বৃদ্ধা মার। অন্ধকার এক কুঠরীর মধ্যে গরু ছাগলের ঘরে ফেলে রেখেছেন মাকে। প্রায় ১৫ শতাংশ জমির উপর দোতলা বাড়ী! একটা ছেলে সরকারী চাকুরীজিবী। তার পরেও প্রায় ৫বছর যাবৎ নিজের মাকে দূর্গন্ধ যুক্ত গরুর ঘরে থাকতে বাধ্য করেছে পাষন্ড ছেলে ফজলুর রহমান। এলাকাবাসীরা অভিযোগ এক বেলাও খেতে দেয়না বৃদ্ধা মাকে। ওই গ্রামের মোড়লরা বৃদ্ধা মাকে বাড়ীতে নেওয়ার কথা বললে তার ছেলে ফজলু মাকে ঘরে তুলতে ঘোর আপত্তি করে। তবে ফজলুর স্ত্রী বলছেন অন্য কথা। তার শ্বাশুড়ী নাকি নিজ থেকেই বাড়ীতে যেতে চাননা। শুধু তাই নয় বৃদ্ধা মায়ের সাথে রয়েছেন তার মেয়ে ও নাতনী। তার নাতনী পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। কিন্তু আলো-বাতি না থাকায় ও বৃষ্টির পানি ঘরে পড়ার ফলে লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে তার। গর্ভধারিনী মা! যে কিনা দশমাস দশদিন পেটে রেখে সন্তানকে ভূ’মিষ্ট করেছেন। কিন্তু সন্তানের এমন পাষন্ড আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানবাধিকার কর্মীরা। ব্যাপারটি বৃদ্ধার ছেলে ফজলুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানাতে অস্বীকার করেন। এই বৃদ্ধা মাকে ঘরে তুলে তার অধিকার ফেরৎ দেওয়া হোক সংশ্লিষ্টদের নিকট এমনটাই দাবী এলাকার সচেতন মহলের।
সংবাদ প্রকাশঃ ২৭–৭–২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24 এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=