Monday, April 28, 2025
spot_img
More

    চোখ হারানো মাহবুবের স্ত্রী অবশেষে চলে গেছেন : নিয়ে গেলেন দেনমোহরের টাকা

    সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছররা গুলিতে দুই চোখের আলো হারানো মাহবুব আলমের পাশে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীও আর রইলেন না। তার এই অবস্থা দেখে স্ত্রী তার সংসারের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে চলে গেছেন। সেই সাথে তার দেনমোহরের টাকা পর্যন্ত নিয়ে গেছেন।
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলকালিন সময়ে নারায়ণগঞ্জের শহরের চাষাঢ়া এলাকায় চোখে গুলিবিদ্ধ হন মাহবুব আলম। আঘাতে তাঁর চোখের নার্ভ ছিঁড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাঁ চোখের পর্দাও ফেটে গেছে।
    চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত আর দেখতে পাবেন না তিনি। জার্মানি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু আর্থিক সংগতি না থাকায় সেদিকে আর পা বাড়ায়নি পরিবার।
    এমন অবস্থার মধ্যে দিয়েই দিন পার হচ্ছিলো মাহবুব আলমের। এরই মধ্যে তার স্ত্রী সংসার থেকে বিদায় নিয়েছেন। সবশেষ পারিবারিক সমাঝোতার মাধ্যমেই দেনমোহরের টাকাটাও নিয়ে গেছেন স্ত্রী। তবে এ নিয়ে কোনো রকমের আক্ষেপ নেই মাহবুব আলমের।
    মাহবুব আলম বলেন, আমার বিষয়টি মানবিক হওয়ার পাশাপাশি বাস্তবতাও রয়েছে। আমার স্ত্রী বাস্তবতার বিষয়টি চিন্তা করেই হয়তো চলে গেছেন। যেতেতু তিনি চলে গেছেন সে হিসেবে দেনমোহর তার প্রাপ্ত। পারিবারিকভাবে আলোচনার মাধ্যমেই দেনমোহরের টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা তার অধিকার। অন্যথায় তার কাছে আমি ঋণী থাকতাম। তিনি সুখী হোক সেই দোয়া করি। এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই আমার।
    মাহবুবের মা হালিমা বেগম বলেন, ছেলের চোখ বাঁচাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ভারতের চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আবার তাঁর চিকিৎসা চলে থাইল্যান্ডে। ১৭ দিন সেখানে অবস্থানের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন তাঁরা। ওই সময় চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মাহবুবের চোখের আলো ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
    মাহবুবের বাবা মশিউর রহমানও বেশ অসুস্থ। তিনি বলেন, সন্তান ভবিষ্যতে মা-বাবাকে পথ দেখিয়ে চলাবেন, কিন্তু সেই সন্তানকেই মা-বাবার হাত ধরে চলতে হয়। ইতোমধ্যে মাহবুবের চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকার বেশি খরচ করা হলেও চোখের আলো ফেরেনি। চিকিৎসকেরা আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানিতে নিতে পারলে মাহবুবের চোখের আলো ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমাদের সেই সামর্থ্য নেই।
    এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে নগরের চাষাঢ়া শহীদ মিনার ও গোল চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে ধাওয়া দেয় ও গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে ভাংচুরের পাশাপাশি আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ আরও মারমুখী হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ওই দিন পুলিশের গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন মাহবুব আলম জানিয়েছেন, জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ফারাহানা মানিক মুনা। সংবাদ প্রকাশঃ ২৭-০৪-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments