একটি ডিম কিনলেও দেওয়া হয় একটি পলিথিন – নিষিদ্ধ পলিথিনে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।   এন এ মুরাদ, মুরাদনগর।  সংবাদদাতা জা্নান  ===
পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের ব্যাবহার নিষিদ্ধ করা হলেও  মুরাদনগর উপজেলার হাটবাজারে চলছে পলিথিনের রমরমা ব্যবসা ও ব্যাবহার। অপচনশীল পলিথিনে ভরাট হচ্ছে পয়োনিষ্কাশনের নালা-নর্দমা। আর তাতে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। নিষিদ্ধ এই ব্যাবসাকে অবলীলায় চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
উৎপাদন, বিপনন, ব্যবহার নিষিদ্ধ; অথচ সবার হাতে হাতে পলিথিন। নিত্যদিনের বাজার সদাই মানেই পলিথিনের ব্যবহার। নিষিদ্ধ পলিথিনে মারাত্বক বিপর্যয় ঘটছে মুরাদনগর উপজেলার পরিবেশ। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ড্রেইন। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা ।
কোম্পানীগঞ্জ বাজারের পূর্ব অংশ কুমিল্লা – সিলেট মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তুপ দেখলেই অনুমান করা যায় কি পরিমান পলিথিন ব্যাবহার হয় এই বাজারে।
উপজেলার তছলিম সরকার, নেছার , এমকে আই জাভেদ ও আলআমিন সহ অন্যান্যরা জানান, অপচনশীল পলিথিন কৃষির জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। এই পলিথিনে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এটি জমিতে পড়লে ফসলাদি হয়না । তাই নিষিদ্ধ এই পলিথিন বন্ধ করে পাট জাতীয় ব্যাগের ব্যাবহার বাড়ানো হউক।

সূত্রে জানাযায়, উপজেলার প্রতিটি বড় বাজারে রয়েছে পলিথিনের খুচরা ব্যবসায়ী। যাদের মাধ্যমে মুরাদনগর উপজেলার প্রতিটি দোকান ও ক্রেতা সাধারণের হাতে হাতে পৌছে যায় পলিথিন। দুই টাকার চকলেট হতে দুইহাজার টাকার বাজার পযর্ন্ত এখন পলিথিনে দেওয়া হয়। একটি ডিম কিনলেও একটি পলিথিন। সুত্রে আরো জানাযায়, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে দুইজন বড় ব্যাবসায়ী আছে, তাদের পলিথিনের একাধিক গোডাউন রয়েছে। তারা বাজার ছাড়াও বাড়ীতে রেখে পলিথিন সার্ভিস দিয়ে থাকেন।
ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্ষুদ্র এক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান এই ব্যাবসায় লাভ ভালো। পলিথিন পচেনা, গলেনা, খারাপ পড়লে কোম্পানি ফেরত নেয়। খুচরা বিক্রি করলে কেজি প্রতি ১শত টাকা লাভ হয়। পাইকারি বিক্রি করল প্রতি কেজিতে ২০ টাকা লাভ হয়। এইসব পলিথিন পুরান ঢাকার ইসলামবাগ, যাত্রাবাড়ি, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে গভীর রাতে আসে। সেখান থেকে কোম্পানীগঞ্জ হয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে যায়।  উপজেলা কৃষি অফিসার মাইনউদ্দিন আহম্মেদ সোহাগ বলেন, পলিথিন কৃষিজমির জন্য হুমকি স্বরুপ। এটি অপচনশীল হওয়ায় যেখানে পড়ে সেখানে সূর্যের রশ্মি পড়েনা। আর সূর্যের রশ্মি না পড়লে ফসলাদি হয়না। পলিথিনের ব্যাবহার রোধ করে পাটের ব্যাগ ব্যাবহার বাড়াতে পারলে কৃষিতে আবারও সোঁনালী আশখ্যাত পাটের সুদিন ফিরে আসবে।

এব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, আমরা বড় বড় চাল দোকানে পূর্বে প্লাষ্টিকের ব্যাবহার বন্ধের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। নিদিষ্ট করে পলিথিনের জন্য করা হয়নি। পলিথিন নিষিদ্ধ, এটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে পলিথিনের উপর অভিযান পরিচালনা করা হবে। সংবাদ প্রকাশঃ  ০৮২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTV NEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

Print Friendly, PDF & Email