করোনায় বন্ধ করাতকল, ব্যস্ততা নেই কাঠপট্রিতে

সিটিভি নিউজ।।   দেলোয়ার হোসেন জাকির  সংবাদদাতা জানান ===
কদিন আগেও করাতকলের কাঠ কাটার শোঁ শোঁ শব্দে কুমিল্লা গাংচরের কাঠপট্টি এলাকার ঘুম ভাঙত। এখন সেখানে শুধুই নীরবতা। করোনার প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে কাঠপট্টির ব্যস্ততা। কাকডাকা ভোরে শুরু হতো দুই কিলোমিটার বিস্তৃত কাঠপট্টির কর্মচাঞ্চল্য। এখন মালিক-শ্রমিকদের অসহায়ের মতো ক্রেতার আশায় বসে থাকা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।
গোমতী নদীকে কেন্দ্র করে প্রায় শত বছর আগে এ ব্যবসার শুরু হলেও চল্লিশের দশকে চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি ও টিম্বার কোম্পানির মাধ্যমে আধুনিক করাতকল স্থাপনের পর পরিচিতি পায় কুমিল্লা গাংচরের কাঠপট্টি। সে সময় ভারতের আসাম থেকে নদীপথে ব্যবসায়ীরা বড় বড় কাটা গাছ নদীতে ভাসিয়ে নিয়ে আসতেন এই কাঠপট্টিতে।
এক সময় শতাধিক করাতকল ছিল কুমিল্লা নগরীর গাংচরের কাঠপট্টি এলাকায়। বিভিন্ন কারণে কমে এখন চলমান রয়েছে ৩০টির মতো। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সেগুলোও এখন বন্ধ। দু-চারটি চললেও দিন শেষে লোকসান গুনতে হয় মালিকদের।
করোনার দুর্যোগে করাতকল শ্রমিক, আসবাবপত্রের কারিগর, নকশাকার, কার্পেন্টার ও কাঠের গুঁড়ি টানার শ্রমিক মিলিয়ে দুই হাজারের মতো মানুষ একবারে বেকার হয়ে পড়েছেন। লোকসানের ফলে করাতকল ব্যবসায়ীরা ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। বিকল্প আয়ের পথ না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কাঠপট্টির শ্রমিক-কর্মচারীরা। করাতকল শ্রমিক আব্দুল কাদের বলেন, আগের মতো কাজ নেই, কাজের আশায় করাতে শান দিয়ে প্রস্তত রাখতে হয়। আসবাবপত্র ব্যবসায়ীরাও চরম হতাশায় দিন পার করছেন।
কুমিল্লা করাতকল ও ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, আধুনিকতার ছোঁয়ায় কুমিল্লা ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী প্রাচীন কাঠের ব্যবসার জৌলুশ এখন আর নেই। অবশিষ্ট যা ছিল করোনার কারণে তাও শেষ হয়ে গেছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০২২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTV NEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ