![](https://ctvnews24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সিটিভি নিউজ।। বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথকে সহজ করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম চলছে। এই প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য হলো স্থানীয়ভাবে সহজে, কম খরচে, দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভের জন্য তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষত নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
অদ্য ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এ গ্রাম আদালত প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও করনীয় বিষয়ে জেলা পর্যায়ে (২য় ব্যাচ) অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব এস.এম. গোলাম কিবরিয়া, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, কুমিল্লা।
সভায় গত জুলাই-ডিসেম্বর‘২৪ মাসের গ্রাম আদালত প্রকল্পের অগ্রগতি, গ্রাম আদালত পরচিালনায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ, সুপারিশ, অর্জনসমূহ তুলে ধরা হয় এবং আগামী ছয় মাসের কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব এস.এম. গোলাম কিবরিয়া, উপপরিচালক, স্থানী সরকার বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথকে সহজ ও দ্রুত এবং স্বল্প খরচে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সরকার এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং ইউএনডিপির কারিগরি সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ – ৩য় পর্যায় প্রকল্প”। গ্রাম আদালত সত্রিয় করণে সরকার কাজ করছে। এখনো অনেক মানুষ গ্রাম আদালতের সুফল সম্পর্কে জানে না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে যেন মানুষ গ্রাম আদালতে আসেন। এতে উচ্চ আদালতে মামলার চাপ কমবে। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মামলা ও মামলার নথি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে বলেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি জনাব মাহফুজা মতিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট; জনাব শাহীন আক্তার শিফা, সহকারি কমিশনার স্থানীয় সরকার; ৮টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণসহ গ্রাম আদালত প্রকল্পের ২ জন ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ ইকবাল হোসেন এবং মোঃ আমিনুর রহমান, ৮ টি উপজেলার ১২ জন উপজেলা সমন্বয়কারি ও ৯৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটরগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্প স্থানীয়ভাবে সহজে, কম খরচে, দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভের লক্ষ্যে তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষত: নারী ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য কাজ করছে। প্রকল্পটি বর্তমানে এর ৩য় পর্যায়ে দেশের ৮টি বিভাগের ৬১ জেলার (পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩টি জেলা ব্যতিত) ৪৬৮ উপজেলার ৪,৪৫৩ টি ইউনিয়নে গ্রামীণ জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করছে।
দ্রষ্টব্য: ইউরোপীয়ান ইউনিয়ান ও ইউএনডিপি উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিশেষ করে গ্রামীণ জনগণের কাছে গণতান্ত্রিক সুশাসন ও বিচারিক সুবিধা নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। উক্ত প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা) মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরো তথ্য পেতে যোগাযোগ করুন:
* মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা ব্যবস্থাপক, কুমিল্লা
মোবাইল: ০১৯১১৭৩০৯৩১, ইমেইল: iqbalhossain.ypsa@gmail.com
* মোঃ আমিনুর রহমান, জেলা ব্যবস্থাপক, কুমিল্লা
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ – ৩য় পর্যায় প্রকল্প
মোবাইল: ০১৭৩৪৬৯৩৭৫১, ইমেইল: aminur.ypsa@gmail.com
সংবাদ প্রকাশঃ ১৩-০২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=