কুমিল্লা ইপিজেডের বর্জ্যের পরিশোধন করা পানির মাধ্যমে পরিবেশ, নদী-নালা, কৃষি জমি ও জীববৈচিত্রের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।  কুমিল্লা ইপিজেডের বর্জ্যের পরিশোধন করা পানির মাধ্যমে পরিবেশ, নদী-নালা, কৃষি জমি ও জীববৈচিত্রের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দাবী করেছেন বেপজার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর।    কুমিল্লা ইপিজেড’র নানান বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। সংগঠনটির কুমিল্লা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের ইপিজেডগুলোর সার্বিক উন্নয়ন ও কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন বেপজার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর। এ সময় কুমিল্লা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।   নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, কুমিল্লার পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ২৬৭ দশমিক ৪৬ একর জায়গা নিয়ে কুমিল্লা ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত। এটি দেশের চতুর্থ ইপিজেড। এ ইপিজেডে এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রফতানি হয়েছে তিন হাজার ৬৯৯ মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য।  তিনি বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডে দেশি-বিদেশি ৪৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। এসব শ্রমিকদের বেতনভাতা বাইরের প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। এটি একটি সুরক্ষিত কর্মক্ষেত্র। ২০০০ সালে এটি চালুর পর থেকে আজ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি।  বেপজার মহাব্যবস্থাপক বলেন, ২০১৫ সালে কুমিল্লাসহ ৪টি ইপিজেডে কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার চালু করা হয়েছে। এই পরিশোধনাগারের মাধ্যমে এখানকার প্রতিটি শিল্প কারখানার তরল বর্জ্য শতভাগ পরিশোধিত হচ্ছে। এতে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে না। এই বর্জ্য পরিশোধনাগারটি রাসায়নিক ও জৈবিক পদ্ধতিতে ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করতে পারে। কুমিল্লা ইপিজেডে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, বেপজার প্রতিনিধিগণ প্রতিদিন পরিশোধনাগারের নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা করছে। প্রতি মাসে দুইবার পরিশোধন হওয়া পানি বেপজার চট্টগ্রাম ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতরও তিন মাস পর পর এই পানি পরীক্ষা করছে। এছাড়া প্রতি ছয় মাসে বুয়েটের ল্যাবেও পরীক্ষা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারের পানি পরিবেশ অধিদফতরের মান বজায় রেখেই নিঃসৃত হচ্ছে। ফলে এই পানির মাধ্যমে পরিবেশ, নদী-নালা, কৃষি জমি ও জীববৈচিত্রের কোনো ক্ষতি হওয়ার সুযোগ নেই।  সংবাদ প্রকাশঃ  ০৫২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email